গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় অটোরিকশা চালক রুবেল হত্যাকাণ্ডের ৪০ দিন পর হত্যার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাঘাটা উপজেলার বাদিনারপাড়া বাসিন্দা আজগর আলীর ছেলে অটোরিকশা চালক রুবেল হোসেন গত ১৯ মার্চ রাত থেকে হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়। পরদিন ওই এলাকার একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এরপর এ ঘটনায় সাঘাটা থানায় ২০ মার্চ মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর থেকে গাইবান্ধা জেলা পুলিশের একটি দল হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতা নেয়। এতে ওই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গাইবান্ধার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওবায়দুল ইসলাম, জসিম মিয়া ও রুবেল মিয়াকে ঢাকার জিড়াবো এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দুজনের বাড়ি সাঘাটা উপজেলার বাদিনারপাড়া এলাকায় এবং জসিম মিয়ার বাড়ি বরিশাল জেলায়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশের কাছে জানান, ঢাকায় যাওয়ার মতো টাকা না থাকায় তারা অটো ভাড়া নেয় এবং নির্জন স্থানে গিয়ে অটোরিকশা চালক রুবেলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ভুট্টা ক্ষেতে ফেলে রাখে। তার অটোরিকশাটি ৯ হাজার টাকায় বিক্রি করে ঢাকায় চলে যায়। তাদের কাছ থেকে পাওয়া মোবাইলের কল রেকর্ড থেকে তথ্য পেয়ে চোরাই অটোরিকশা কেনার অপরাধে সাঘাটার বারোকোনা বাজার এলাকা থেকে সাজু মিয়া ও রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করে। তারা সবাই এই অটোচালক রুবেল হোসেনকে হত্যা ও তার অটোরিকশা কেনার সাথে জড়িত বলে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন জানান।