অফিসে বসে ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ফাঁস
প্রত্যাহারের ছয়দিন, থানা ছাড়েননি পীরগঞ্জের ওসি

রংপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৩, ২০:০০

পীরগঞ্জ থানা। ছবি: সংগৃহীত
প্রত্যাহারের চারদিন অতিবাহিত হলেও থানা ছাড়েননি রংপুরের পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন। এখনো তিনি অত্র থানায় দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।
রংপুর পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি পীরগঞ্জ থানার ওসি জাকির হোসেনের ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) ভাইরাল হলে তাকে গত ২৪ এপ্রিল পীরগঞ্জ থানা থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ৬ দিন অতিবাহিত হলেও তিনি থানা ছাড়েননি। কিন্তু তার প্রত্যাহারের আদেশ কপি প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
গত ২৪ এপ্রিল তারিখে জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরীর স্বাক্ষরিত ওই আদেশ কপিতে উল্লেখ করা হয়, ‘পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. জাকির হোসেনকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক কারণে, পুলিশ লাইন্স রংপুরে সংযুক্ত করা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
ছড়িয়ে যাওয়া ১ মিনিট ২ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, ওসি জাকির হোসেনের অফিস রুমে নীল রঙের শার্ট পরিহিত এক ব্যক্তি প্যান্টের পকেট থেকে টাকার বান্ডিল বের করে টেবিলে দিচ্ছেন। এসময় ওই ব্যক্তি ওসিকে বলছেন, ‘ভাই, আপনার খাট বাবদ দেওয়া হয়েছে ৬১ হাজার টাকা, আজকে দিলাম ৬০ হাজার, মোট ১ লাখ ২০ হাজার এবং বিভিন্ন কাজ বাবদ দেওয়া হয়েছে ১৫ হাজার করে মোট ৩০ হাজার। সব মিলে দেড় লাখ পার। এর পরে আপনি হিসাব করে আমাদের দেবেন।’
প্রতিত্তরে ওসি জাকির বলেন, ‘আমি কি কাউকে দেই?’ বলে টাকা ফেরত দেন। এরপর বলেন, ‘খাট বাবদ যেগুলো দিছেন, সেগুলো ওই লাইনের, এই লাইনের না।’
প্রত্যাহারের পরও বহাল তবিয়তে থাকার বিষয়ে আজ শনিবার বিকেলে মুঠোফোনে ওসি জাকির হোসেন এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, আমি এখনো আছি, ‘স্যার (পুলিশ সুপার) যেভাবে বলবেন, আমি সেভাবেই যাব।’
রংপুরের পুলিশ সুপার মো. ফেরদৌস আলী চৌধুরী জানান, পীরগঞ্জ থানার ওসিকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্তির আদেশ দিয়েছি। ওই আদেশের অনুলিপি দিয়েছি পুলিশের ঊর্ধ্বতন দপ্তরেও। সেখান থেকেও আদেশ আসবে। হয়তো সেই আদেশের অপেক্ষায় আছেন ওসি।