--01-644f82b6dbe94.jpg)
প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা। ছবি: বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ায় চলতি এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের নাটক সাজিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত চার যুবক ফেসবুকের মাধ্যমে চলতি এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও উত্তর দেওয়া হচ্ছে বলে প্রচারণা চালিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন।
আজ সোমবার (১ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় বগুড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বগুড়ার ধুনট উপজেলার জোড়াখালি এলাকার মো. যুবাইয়ের আহম্মেদের ছেলে মো. সালমান (২০), একই এলাকার মো. রাইমেন সরকারের ছেলে মো. রাইসুল ইসলাম (২০), মো. কাওছার আলীর ছেলে মো. আহসানহাবীব (২০), মো. রুহুল আমীনের ছেলে মো. আব্দুল মমিন (২০) মিলে ফেসবুকে একটি পেজ ওপেন করে। বিগত দিনে বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত হওয়া এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে। পরে সংগ্রহীত সেইসব প্রশ্নপত্র ফটোসপে এডিট করে চলতি বছরের প্রশ্নপত্র বলে ফেসবুক পেজে ছেড়ে দেয় এবং পুরাতন প্রশ্নপত্রগুলো নতুন বলে বিক্রির জন্য ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ করতে বলে ও দুটি বিকাশ মোবাইল নাম্বার দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতে থাকে। এই গোপন সংবাদ পেয়ে বগুড়া ডিবি পুলিশ অভিযানে নামে। বিভিন্ন তথ্য ও অভিযানের এক পর্যায়ে ওই চার যুবককে আটক করে। আটকের পর তারা প্রতারণা করার বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।
ডিবি বগুড়ার ইনচার্জ মো. সাইহান ওলিউল্লাহ, রবিবার বিকালে অভিযানে জেলার ধুনট থানার জোড়খালি হাফেজ খানা নামক স্থান থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের নাটক সাজিয়ে অর্থ আদায়কারী চক্রের মূলহোতাসহ ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপসহ মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি জানান, পুরাতন প্রশ্নপত্রগুলো ফটোসপের মাধ্যমে এডিট করে তারা প্রতারণা করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বগুড়া পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সালমান এই চক্রের মূলহোতা এবং বাকি সবাই সহযোগী। এছাড়া তারা বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী। তাদের ভিন্ন দুইটি বিকাশ নম্বর পাঠিয়ে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিতো। তাদের এই চক্রের সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা এজন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আখতার, বগুড়া সদর থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী এবং ডিবির ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ।