
নিহত কিশোরী মুক্তি বর্মন (১৬)। ছবি: নেত্রকোণা প্রতিনিধি
নেত্রকোণার বারহাট্টায় স্কুল থেকে ফেরার পথে এক কিশোরীকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে এক তরুণ। আজ মঙ্গলবার (২ মে) বিকেলে উপজেলার বাউসী ইউনিয়নের প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কিশোরীর নাম মুক্তি বর্মন (১৬)। সে প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামের নিখিল বর্মনের মেয়ে এবং প্রেমনগর-ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। অভিযুক্ত তরুণের নাম কাউছার (১৯)। তিনি একই গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে।
নিহত মুক্তি বর্মনের সহপাঠীরা জানায়, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে স্কুল থেকে তারা এক সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলো। পথিমধ্যে হঠাৎ কাউছার এসে দা দিয়ে মুক্তিকে কোপাতে শুরু করে। এতে অন্যরা সবাই ভয় পেয়ে চিৎকার করতে থাকে। এসময় স্থানীয়রা এসে মুক্তিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরে নিহত মুক্তি বর্মনের ভাই লিটন বর্মন জানান, তার বোনকে নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খোকন কুমার সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমি ঘটনাস্থলে যাই। মরদেহ নেত্রকোণা হাসপাতালে আছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে হত্যার কারণ ‘প্রেমঘটিত’ কিনা জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য বুলবুল বলেন, কি কারণে কাউসার এই ঘটনা ঘটিয়েছে তার কোনো সঠিক তথ্য জানতে পারছি না।
বাউসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শামছুল হক বলেন, মেয়েটি হিন্দু সম্প্রদায়ের আর ছেলে মুসলমান সম্প্রদায়ের। বিষয়টা খুবই জটিল ও মর্মান্তিক। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, সেই সঙ্গে ঘটনার সঠিক ও সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করছি।
অন্যদিকে প্রেমনগর-ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল খায়ের টিটু বলেন, আমরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা সাথে কথা বলেছি, তারা জানিয়েছেন মুক্তি বর্মণ হিন্দু সম্প্রদায়ের আর কাউসার মসুলমান সম্প্রদায়ের। দুজনের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু কেন এইরকম ঘটনা ঘটিয়েছে তা বুঝতে পারছি না।