
ঈদের ছুটি শেষেও কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের অবস্থান রয়ে গেছে। ছবি: প্রতিনিধি
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। ঈদের ছুটি শেষেও কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের অবস্থান রয়ে গেছে। তাছাড়া সাপ্তাহিক ছুটিতেও পর্যটকে ভরপুর ছিল সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট।
তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে এসব পর্যটক সমুদ্রের লোনা জলে স্নান ও বালিয়াড়িতে উৎসবে মেতে উঠেছেন। অধিকাংশ মানুষ সমুদ্রের লোনাপানিতে শরীর ভিজিয়ে আনন্দ-উল্লাসে মেতেছেন। কেউ দ্রুতগতির জলযান জেডস্কি নিয়ে ঘুরে আসছেন গভীর সমুদ্রের জলরাশিতে। অনেকে আবার বালুচরে দাঁড়িয়ে মুঠোফোনে ছবি তুলছেন।
ঢাকা থেকে আগত পর্যটক গিয়াস উদ্দিন বলেন, এসে খুব ভালো লাগছে। নতুন বিয়ে করে স্ত্রীকে নিয়ে কক্সবাজার চলে এসেছি। আমরা কিছুক্ষণ হাঁটার পর দুজন নেমে পড়ি সমুদ্রের নীল জলরাশিতে।
বৃহত্তর বিচ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুর রহমান বলেন, ঈদের ছুটিসহ টানা এক সপ্তাহে প্রায় ছয় লাখ পর্যটক কক্সবাজার এসেছেন। প্রতিদিন কক্সবাজারে ৮০ থেকে ৯০ হাজার পর্যন্ত পর্যটকের উপস্থিতি ছিল। পাঁচ শতাধিক হোটেল গেস্টহাউস, রিসোর্ট ও কটেজের ৮০ শতাংশ কক্ষ ভাড়া হয়েছিল।
কক্সবাজার কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান জানান, এবার ঈদে আশানুরূপ ব্যবসা হয়নি। আমাদের আশা ছিল এবার হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হবে। কিন্তু হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। যেহেতু রমজান মাসে আমাদের কোনো ব্যবসা হয়নি। সেই ক্ষতিটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। হোটেলে ৪০-৫০ শতাংশ ছাড় দিয়েও মিলছে না পর্যটক। অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে জমেনি এবারের ব্যবসা।
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, ঈদের ছুটিতে বিপুল সংখ্যক পর্যটক কক্সবাজারে ভ্রমণে এসেছেন। তাদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর ছিল। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ, বিনোদনকেন্দ্র ছাড়াও সমুদ্র সৈকতে রাতদিন ২৪ ঘণ্টা পর্যটকদের নিরাপত্তা দিচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের টিম।