চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী হরিহরনগর গ্রামের মাঠ থেকে পান্না ভাঙড়ী (৩৫) নামের এক মাদক কারবারির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা আজ সোমবার (১৫ মে) ভোর রাতে মাঠের একটি সেগুন গাছের বাগান থেকে লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। তবে এ হত্যাকাণ্ড কিভাবে সংঘটিত হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, জীবননগর উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী সীমান্ত ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের আতিয়ার ভাঙড়ীর ছেলে পান্না ভাঙড়ী রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরবর্তীতে তিনি আর বাড়িতে ফিরে যাননি।  আজ সোমবার (১৫ মে) ভোর রাতে পান্না ভাঙড়ীর চাচাতো ভাই আনার ভাঙড়ীর কাছে অজ্ঞাত স্থান থেকে মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। অপরপ্রান্ত বলা হয়, পান্না ভাঙড়ীর লাশ হরিহরনগর মাঠে সেগুন গাছের বাগানে পড়ে আছে। এ সংবাদ পেয়ে পরিবারের লোকজন ওই রাতেই বাগানে গিয়ে লাশ পড়ে থাকতে দেখে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।

সীমান্ত এলাকার ইউপি সদস্য আরজাম আলী বলেন, নিহত পান্নার শরীরে একটা ছিদ্র আছে এবং ধারনা করা হচ্ছে হয়ত এটা গুলির চিহ্ন। এছাড়া তার একটা কান ও নাক বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তবে সীমান্ত এলাকায় রাতে কোনো গুলির শব্দ শোনা যায়নি।

ওই এলাকার অসমর্থিত সূত্র জানিয়েছে, চোরাকারবারি পান্না ভাঙড়ী ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে মাদকের চালান আনতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি ভারত সীমান্তরক্ষী বিএসএফের মুখোমুখি হয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। অনেকের ধারণা মাদক কারবার নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরাই তাকে ঘটনাস্থলে হত্যা করতে পারে।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, পান্না ভাঙড়ীকে হত্যা করা হয়েছে সত্য। তবে ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা এখনো জানা যায়নি। নিহত পান্না ভাঙড়ীর দেহের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্ত শেষে ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।