
ছবি: নাটোর প্রতিনিধি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের বিরুদ্ধে নাটোরে মামলা করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (২২ মে) রাতে নাটোর সদর থানায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম রমজান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এসময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। মামলায় মির্জা ফখরুল ২ নম্বর ও আবু সাঈদ চাঁদকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
নাটোর সদর থানার কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিশ্বাস ভঙ্গকারী, কটূক্তিকারী, আইন অমান্যকারী, রাষ্ট্রবিরোধী, মিথ্যা তথ্য প্রচারকারী এবং সন্ত্রাসীদের মদদ দাতা। এমনভাবে গত ১৯ মে বিকেল ৫টার দিকে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানার শিবপুর হাই স্কুল মাঠে এক জনসভায় মির্জা ফখরুলের নির্দেশনায় আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘আর ২৭ দফা, ১০ দফার মধ্যে আমরা নাই, এক দফা শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে, হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে এবং শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার জন্য যা যা করার দরকার আমরা করব!’
তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি এইরূপ আক্রমণাত্মক ও ভীতি প্রদর্শনমূলক হুমকি বিভিন্ন ওয়েব সাইটে ও ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার, প্রকাশ ও সম্প্রচার হওয়ায় রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। আসামিদের এরূপ আক্রমণাত্মক ও ভীতি প্রদর্শক উক্তি নাটোর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রচার-প্রকাশ ও সম্প্রচারের ফলে নাটোর সদর থানাসহ জেলা ও সমগ্র বাংলাদেশে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এবং আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যা তথ্য প্রযুক্তি আইনের আওতায় অপরাধ ও বিচার্য বিষয় বলে পরিগণিত হচ্ছে। ১ নম্বর আসামি আবু সাঈদ চাঁদ এবং ২ নম্বর আসামি মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে কোন সময় নিজে এবং তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর সমন্বয়ে শেখ হাসিনার উপর যে কোন সময় প্রাণঘাতী হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের বিরুদ্ধে গতকাল সোমবার (২২ মে) বিক্ষোভ, প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধন করেন আওয়ামী লীগের নাটোর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।