বান্দরবানের রুমায় গহিন পাহাড়ি এলাকায় পুঁতে রাখা স্থল মাইন বিস্ফোরণে এক শ্রমিক নিহত ও অপর এক শ্রমিক আহত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৩ মে) সকালে রুমা উপজেলার রেমাক্রিপ্রাংসা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শ্রমিকের নাম মো. রাশেদ (১৮)। তিনি বাঁশখালীর ছনুয়া এলাকার নুরুল হকের ছেলে। আহত আরেক শ্রমিক মো. দুলাল (৩৫) একই এলাকার মহিবুল্লাহর ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে রুমা উপজেলার রেমাক্রি প্রাংসা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চাইক্ষ্যাং পাড়ার পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে (বংকু পাড়া থেকে ধোপানিছড়া সীমান্ত লিংক রোড) এলাকায় বিজিবির একটি অস্থায়ী বিওপি নির্মাণ কাজ করার সময় কেএনএফের পুতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই হতাহতদের উদ্ধার করে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। 

থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুল্লাহ আল নোমান সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বিজিবি সদস্যরা নিহত ও আহতকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। মো. রাশেদ ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছিল। গুরুতর আহত মো. দুলালকে (৩৫) প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, তিনিও স্থানীয়দের মাধ্যমে ঘটনাটি শুনেছে। দুর্গম সীমান্ত এলাকা হওয়ার কারনে ঘটনাস্থলটি কোন জায়গায় সঠিকভাবে বলতে পারছেন না বলে জানান তিনি। 

তবে এবিষয়ে থানচি বলিপাড়া বিজিবি ৩৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ শরিফুল আলমের কাছে খুদে বার্তা পাঠিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্ডার রোড প্রজেক্টে কাজ করার সময় কুকি-চিনদের পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে এ ঘটনা ঘটেছে।

এর আগেও ১৭ মে রুমা উপজেলার রেমাক্রিপ্রাংসা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের স্লৌপি পাড়ায় স্থল মাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় জুয়েল ত্রিপুরা নামে স্থানীয় যুবক নিহত হয়। আহত হয় আব্রাহাম ত্রিপুরা নামে আরেক যুবক। এঘটনায় হাতের কবজি উড়ে যায় এক সেনা সদস্যের।