
পঞ্চগড় জেলার মানচিত্র। ফাইল ছবি
পঞ্চগড়ে রাতের আঁধারে বাড়ি থেকে দুই লাখ চল্লিশ হাজার টাকা মূল্যের ৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ছয় লাখ টাকা দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর এক দিনের মাথায় চোর চক্রের মূলহোতাসহ দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার (২৯ মে) দুপুরে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এস.এম সিরাজুল হুদা। এর আগে গত ২৬ মে গভীর রাতে পঞ্চগড় সদরের জগদল বাজার এলাকায় মাসুদ রানার বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সুপার এস.এম সিরাজুল হুদা জানান, একটি বড় অজ্ঞান পার্টির চক্র জেলার বিভিন্ন এলাকার লোককে সাথে নিয়ে এ চুরির কাজ করে আসছিলেন। এর মধ্যে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মূলহোতাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর সাথে অনেকেই সম্পৃক্ত রয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চোর চক্রের মূল হোতা জগদল বাজার এলাকার মৃত কালু মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম ওরফে তাইজি (৩২) ও দশমাইল বাজার মুহুরীজোত এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে হাসান (৩০)। গ্রেপ্তারের পর তাইজির দেয়া তথ্য মতে তার বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া টাকার মধ্যে ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
মামলার এজাহারে জানা যায়, বাদী মাসুদ রানাসহ পরিবারের সদস্যরা রাতের খাবার শেষে ঘুমাতে যায়। এর মাঝে চোর চক্রের সদস্যরা বাড়িতে প্রবেশ করে দুই লাখ চল্লিশ হাজার টাকা মূল্যের ৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ছয় লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এর মাঝে মাসুদের ছোট ভাই মিজানুর রহমানের স্ত্রী আফরোজা বেগম প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠে বের হলে ঘরের দরজা খোলা দেখতে পায়। এর পর মাসুদে ডাকা হলে দেখতে পায় ঘরের ভিতরে আলমারিতে থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নাই। একই সময় জমাজমির দলিলপত্র ও কাপড় চোপড় বাড়ির আঙ্গিনার মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে। এর পর চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে রবিবার (২৮ মে) পঞ্চগড় সদর থানায় অজ্ঞাতনামা করে মাসুদ রানা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। এর পর তৎপর হয়ে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিবুল হাসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকশ দল নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।