বরিশালে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নৌকার মেয়রপ্রার্থীর উঠান বৈঠক পণ্ড, আহত ৪

বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৩, ২৩:৪৬

ছবি: বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশালে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থীর উঠান বৈঠক তথা নির্বাচনী সভায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার (২ জুন) রাতে নগরীর ভাটারখাল এলাকায় পাবলিক লাইব্রেরী সংলগ্ন মাঠে এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় উভয়পক্ষের ৪ জন আহত হলেও তিনজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সিদ্দিকুর রহমান ও অপরজন সুমন ওরফে কৈতর সুমনের নাম জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে সন্ধ্যা ৭টায় বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মেয়রপ্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহর নৌকা প্রতীকের উঠান বৈঠক ছিলো। সেখানে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং বর্তমান ও সাবেক দুই কাউন্সিলর পাল্টাপাল্টি মিছিল নিয়ে সভাস্থলে যায়।
এসময় মঞ্চে বসা নিয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় দুই কাউন্সিলর প্রার্থী এটিএম শহীদুল্লাহ কবীর ও জয়নাল আবেদীন এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখর দাসের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রার্থীর উঠান বৈঠক পণ্ড হয়ে যায়।
হামলায় আহত স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘১০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বর্তমান কাউন্সিলর প্রার্থী জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে আমরা মিছিল নিয়ে উঠান বৈঠকে আসি। সভাস্থলে প্রবেশের সময় আমাদের বাধা দেয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক শেখর দাস ও বর্তমান কাউন্সিলর এটিএম শহিদুল্লাহ কবীরের লোকেরা। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায় আমাদের ওপর হামলা করে।
তবে হামলায় আহত সুমন ওরফে কৈতর সুমনের স্ত্রীর অভিযোগ করেছেন, ‘ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী জয়নাল আবেদীনের লোকেরা হামলা করেছে তাদের ওপর। তিনি বলেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা শেখর দাস মিছিল নিয়ে উঠান বৈঠকে আসেন। তিনি সভার মঞ্চে উঠতে গেলে তাকে বাধা দেয় জয়নালের লোকেরা। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায় আমাদের ওপর হামলা করেছে। তারা আমাকেও মারধর করেছে।
১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখর দাস বলেন, ‘আমি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মিছিল নিয়ে সভায় যোগ দেই। পরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি হিসেবে মঞ্চে উঠি। তখন ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এটিএম শহীদুল্লাহ কবীরের লোক হিসেবে পরিচিত জিলানী এবং খোকন আমাকে মঞ্চে উঠতে দেয়নি। এজন্য আমি মঞ্চের পাশে এসে দাঁড়িয়ে ছিলাম।
এ নিয়ে আমার লোকেদের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায় এটিএম শহীদুল্লাহ কবীরের লোকেরা আমার লোকেদের ওপর হামলা করে। এতে তিনজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে কইতর সুমন নামের যে ব্যক্তি আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে সে মূলত বিএনপির লোক। তবে তিনি বর্তমানে এটিএম শহীদুল্লাহ কবীরের পক্ষে নির্বাচন করছে।
এ প্রসঙ্গে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে মারামারি হয়েছে। এতে দুই পক্ষের ৩-৪ জন কমবেশি আহত হয়েছে। তবে বড় কোন ঘটনা ঘটেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।