
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তানভীর। ছবি: কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর গড়াই নদীতে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তানভীরের (২৩) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১৪ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় কুমারখালীর সৈয়দ মাসউদ রুমি সেতু (মীর মশাররফ সেতু) এবং রেল সেতুর মধ্যবর্তী স্থান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
এর আগে সোমবার (১২ জুন) বিকেল ৪টার দিকে গড়াই নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হন তানভীর। নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। তানভীর বরগুনা সরকারি কলেজের শিক্ষক আব্দুল মালেকের ছেলে।
কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জানে আলম জানান, খবর পেয়ে ১২ জুন সোমবার বিকেল থেকেই কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান শুরু করে এবং ওইদিন রাত ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাকে না পেয়ে অভিযান শেষ করা হয়।। ১৩ জুন, মঙ্গলবার সকাল ৮টায় খুলনা থেকে আসা ৫ সদস্যের ডুবুরি দল গড়াই নদীতে নিখোঁজ ছাত্রকে উদ্ধার অভিযানে নামে। মঙ্গলবারের অভিযানেও তার সন্ধান না পাওয়ায় বুধবার (১৪ জুন) অভিযান অব্যাহত রাখা হয়। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহতের মামা অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম জানান, তানভীরসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থী মাইক্রোবাস নিয়ে কুমারখালীর বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনে আসেন। রবীন্দ্রনাথের কুটিবাড়ি থেকে ফেরার পথে গড়াই নদে গোসল করতে নেমে তানভীর নিখোঁজ হন। মরদেহ বরগুনা নিজ এলাকায় নিয়ে দাফন সম্পন্ন করবেন বলে জানান তিনি।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসীন হোসাইন জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীরা মেহেরপুরের মুজিবনগর বেড়াতে আসেন। গত সোমবার বিকেলে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান দেখে একসঙ্গে সাঁতরে গড়াই নদী পার হওয়ার জন্য নদীতে নামেন তারা। নদী পার হওয়ার সময় তিন শিক্ষার্থী পানিতে ডুবে যান। দুজন পাড়ে উঠতে পারলেও তানভীর নিখোঁজ হন। এর পর থেকেই তাকে উদ্ধারে অভিযান চলমান ছিল। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।