দাদা-দাদির কবরের পাশে চিরনিদ্রায় সাংবাদিক নাদিম

জামালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৩, ১৬:২১

সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সাংবাদিক গোলাম রাব্বানি নাদিমের জানাজা। ছবি: জামালপুর প্রতিনিধি
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সাংবাদিক গোলাম রাব্বানি নাদিমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৬ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গ্রামের বাড়ি নীলাক্ষিয়া ইউনিয়নের গোমেরচরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাদা-দাদির কবরের পাশে সমাহিত করা হয়।
এর আগে, সকাল ১০টায় বকশীগঞ্জ নুর মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সাংবাদিক নাদিমের প্রথম জানাজা ও গোমেরচর জিগাতলা ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পরিবারের পক্ষে নিহতের বড় ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন রিফাত বক্তব্য রাখেন।
এ সময় প্রয়াত সাংবাদিকের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি জানায় জামালপুর প্রেসক্লাব, জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন, টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম সংগঠন।
জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ সোহেল রানা, জেলা পরিষদ সদস্য জয়নাল আবেদীন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জুম্মান, জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা, টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মিন্টু, অনলাইন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি শওকত জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আগা সাইম, প্যানেল মেয়র মিজানুর রহমান, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম প্রিন্স, সাংবাদিক আশরাফুল হায়দার, বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হেদায়েত উলাহ্, বকশীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহিন আল আমিন, বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ্ আল সাফি, মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি এমদাদুল হক লালন প্রমুখ।
এ সময় জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা সাংবাদিকদের পক্ষে বলেন, সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার মূল হোতা সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ সকল হামলাকারীরা আটক না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাত ১০টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাংলানিউজের জেলা প্রতিনিধি ও একাত্তর টেলিভিশনের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের ওপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা।
বকশিগঞ্জ সরকারি কলেজ মোড় এলাকায় মোটরসাইলের গতিরোধ করে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত করে।
পরে নাদিমকে অজ্ঞান অবস্থায় নির্জন জায়গায় ফেলে রেখে যায় সন্ত্রাসীরা। তাকে প্রথমে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা।
সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।