সিলেটে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল

সিলেট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৩, ২১:২৭
-648f224854fac.jpg)
টানা বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে সিলেট ও সুনামগঞ্জে নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
টানা বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে সিলেট ও সুনামগঞ্জে নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্ধিতাংশ ও জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যার শঙ্কায় পূর্বপ্রস্তুতিও নিচ্ছে সিলেট জেলা প্রশাসন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত কয়েক দিনের অব্যাহত বৃষ্টিতে সিলেটে সুরমা, কুশিয়ারা, সারি, পিয়াইন, ধলাই, জাদুকাটাসহ ছোট-বড় সব নদীর পানি বাড়ছে।
সুরমার পানি শনিবার বিকেলে সীমান্তবর্তী কানাইঘাটে বিপদসীমা অতিক্রম করলেও রবিবার সকালে কিছুটা কমেছে। আবার দুপুরে পানি বেড়ে বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেট পয়েন্টে সুরমার পানি বিপদসীমার ৮২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কুশিয়ারা নদীর পানি অমলশীদ পয়েন্টে বিপদসীমার ১ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে, এই পয়েন্টে রবিবার দিনে ১২ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ১১ সেন্টিমিটার। শেওলা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুর পয়েন্টে পানি বাড়লেও বিপদসীমার দেড় মিটার নিচে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আজ রবিবার (১৮ জুন) ভারি বর্ষণে সিলেট নগরীর ঘাসিটুলা, কানিশাইল, কুশিঘাট ও সিটি করপোরেশনের বর্ধিত এলাকা মোহাম্মদপুর, সৈয়দপুর, জাহানপুর, টেক্সটাইল রোড, মইয়ারচর, কুচাই, বদিকোণাসহ বেশ কয়েকটি এলাকা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে।
এ ছাড়া নগরীর বাইরে সীমান্ত ও হাওরবেষ্টিত এলাকা কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এতে অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমদ বলেন, পানি বাড়লেও দ্রুত নেমে যাচ্ছে। এ কারণে আপাতত বড় বন্যার শঙ্কা নেই। তবে, পূর্বাভাস অনুযায়ী ২৫ জুন পর্যন্ত সিলেট ও ভারতের মেঘালয়-আসামে ভারি বৃষ্টি এবং ঢল অব্যাহত থাকলে মাঝারি ধরনের বন্যা হতে পারে।
এদিকে, সুনামগঞ্জে পানি বৃদ্ধি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সুরমা নদীর ছাতক পয়েন্টে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা।
রবিবার সকালে ছাতক পয়েন্ট দিয়ে বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। এদিকে, পানি বাড়ায় সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়ক উপচে পানি প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।