
বক্তব্য রাখছেন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। ছবি: বরিশাল প্রতিনিধি
প্রায় তিন মাস পর বিশাল বহর নিয়ে বরিশালে ফিরেছেন বর্তমান মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে সামশ পরশসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বরিশালে আসেন। এসময় সাদিক আবদুল্লাহর পরিবারের সদস্যরাও তার সাথে ছিলেন।
আগামীকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি এবং পরবর্তী ২৪ জুন নগর ভবনের সামনে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।
এর আগে চলতি বছরের গত ১ এপ্রিল রাতে সপরিবারে বরিশাল থেকে ঢাকায় যান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। সেখান থেকে নিজের অনুগত নেতাকর্মীদের নিয়ে ভারতের আজিমর শরীফ মাজার জিয়ারত করতে দেখা যায় তাকে।
এদিকে এবারের বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়ায় বরিশালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রকাশ্য গ্রুপিং দেখা দেয়। মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর অনুপস্থিতিতে তার বিরোধী শিবিরের নেতাকর্মীরা নতুন করে সক্রিয় হতে শুরু করেন। অনেকটা নিষ্প্রাণ ছিল নগরভবনও।
দীর্ঘদিন পর বৃহস্পতিবার দুপুরে সড়ক পথে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বরিশালে ফিরলে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গড়িয়ারপাড়ে তাকে সংবর্ধনা জানান অসংখ্য নেতাকর্মী। পরে সেখান থেকে বিশাল মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে নগরীতে নিয়ে আসা হয় সাদিক আবদুল্লাহকে।
পরে নগরীর কালিবাড়ি রোডে সেরনিয়াবাত ভবনে প্রবেশ করে বরিশাল মহানগর এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সাথে নিয়ে দুপুরের খাবার খান। ঠিক সেই মুহূর্তে কালিবাড়ি রোডে সেরনিয়াবাত ভবন ঘিরে নেতা-কর্মীদের ঢল নামে।
পরে কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে সামশ পরশ দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। এসময় তিনি নিজেদের মধ্যে দলাদলি না করে ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
অপরদিকে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, বরিশালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কোন গ্রুপিং নেই। দলের সিদ্ধান্তের কারণে আমি নির্বাচনকালিন বরিশালে আসতে পারিনি। তাছাড়া আমি মেয়র হিসেবে সরাসরি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারি না। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বিধিনিষেধ রয়েছে।
তিনি বলেন, এখানে আমার চাচা মেয়র হয়েছেন। এটা আমার গর্বের বিষয়। কেননা আমি আমার আপন চাচার হাতে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিব। নগর উন্নয়নে আমার যেসব পরিকল্পনা রয়েছে সেগুলো আমি আমার চাচা নবনির্বাচিত মেয়রের সাথে শেয়ার করবো। বরিশালের রাজনীতির বিষয়ে আমি তার কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করবো।
এদিকে নেতা-কর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে নগরীর মুসলিম গোরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত মা সাহান আরা বেগমের কবর জিয়ারত করেন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। এসময় যুবলীগের চেয়ারম্যান ফজলে শাসম পরশসহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।