কোরবানি ঈদের ভরা মৌসুমেও দুর্দিনে কামার শিল্প

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৩, ১৬:০৮

লোহার পণ্য আশানুরূপ বিক্রি না হওয়ায় হতাশ ব্যবসায়ীরা। ছবি: জয়পুরহাট প্রতিনিধি
উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় কোরবানি ঈদের ভরা মৌসুমেও লোহার সামগ্রীর চাহিদা নেই বাজারে। প্রতিবছর কামারপল্লীগুলো হাতুড়ি পেটানোর টুং টাং শব্দে মুখরিত হয়ে থাকে। কিন্তু এবার লোহা ও কয়লার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লোহার সামগ্রী তৈরিতে পুঁজি সঙ্কটে পড়েছেন তারা। কোরবানি ঈদ ঘিরে পরিশ্রম করে তৈরি করা লোহার পণ্য বিক্রির প্রত্যাশা ছিল কর্মকারদের। কিন্তু আশানুরূপ বিক্রি না হওয়ায় হতাশ জেলার কামার শিল্পী ও ব্যবসায়ীরা।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়- গত বছরও কোরবানি ঈদের আগে ব্যস্ত সময় পার করেছেন জয়পুরহাটের দুর্গাদহ ও পুনট বাজারের কামার শ্রমিকরা। ঈদের আগে লোহার সামগ্রীর চাহিদা মেটাতে যেখানে দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টা টুং টাং শব্দে দিন কাটতো তাদের। কিন্তু এবার সেই ব্যস্ততা কমে গেছে কয়লা ও লোহার দাম বেড়ে যাওয়ায়। ঈদকে সামনে রেখে অনেকেই কামার শিল্পীদের কাছে পশু কাটার ছুরি, চাপাতি, দা, বটিসহ নানা জিনিস ক্রয় করে থাকে। উপকরণের দাম অনুযায়ী তৈরি করা লোহার সামগ্রীর দাম বেশি হওয়ায় কমে গেছে এর চাহিদাও। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন জেলার কামার শিল্পের সাথে জড়িত ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার দুর্গাদহ বাজারের কামার শিল্পে জড়িত ব্যবসায়ী দুলাল কর্মকার, কালাই উপজেলার পুনট বাজারের নির্মল কর্মকার জানান, গত বছর যে লোহার দাম ছিল প্রতি কেজি ৮০ টাকা। এখন তা কিনতে হচ্ছে ১৩০ টাকায়। আর ২০ টাকা কেজির কয়লা কিনতে হচ্ছে ৪০ টাকায়। লোকসান ও পুঁজি সঙ্কটে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। প্রতি বছর কোরবানির ঈদের আগে ক্রেতাদের সংখ্যা অনেক বেশি থাকে এবার চিত্রটা আলাদা। সময়মতো বেতন দিতে না পারায় কর্মচারী পাওয়া যাচ্ছে না।
জয়পুরহাট বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক লিটন চন্দ্র ঘোষ জানান, কোরবানি ঈদের আগে কামার শিল্পীদের সকল পণ্যের চাহিদা রয়েছে। তাদের আর্থিক বা প্রশিক্ষণের প্রয়োজন পরে তাহলে বিসিক জেলা কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।