
কোরবানি পশুর হাট। ছবি: লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাটে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের কোরবানি পশুর হাট। এসব হাটে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এবার জেলার চাহিদা পূরণ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিরাজগঞ্জ, নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা নিয়ে যাচ্ছে এসব দেশীয়জাত পশু।
আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে গরু, মহিষ ও ছাগল কেনা বেচায় সরগরম হয়ে উঠেছে লালমনিরহাটের পশুর হাটগুলো। প্রত্যন্ত এ অঞ্চলের মানুষ লাভের আশায় দেশীয় গরু মোটাতাজা করে বিক্রির জন্য নিয়ে আসছেন হাটে। ৬০ হাজার থেকে শুরু করে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের গরু কেনা বেচা চলছে এসব হাটগুলোতে। এসব গরু তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় ক্রেতারা স্বস্তিতে থাকলেও বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। গো খাদ্যের চড়া দামের কারণে গেল বছরের তুলনায় দাম বেশি হাকলেও লাভের মুখ দেখছেন না অনেক খামারিরা।
জেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট বড়বাড়ী, রয়েছে দুরাকুটি, চাপারহাট, শিয়াল খোওয়া, দইখাওয়া, বড়খাতা ও পাটগ্রাম। এসব হাটে বসানো হয়েছে পুলিশ বক্স, জাল টাকা সনাক্তের মেশিন, ভেটেনারি মেডিকেল টিমসহ বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ফলে ক্রেতা ও বিক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের পছন্দের গরু বেচা-কেনা করতে পারছেন।
প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাজিয়া আফরিন বলেন, জেলায় কোরবানি উপযোগী পশু ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮০০। চাহিদা ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩০০। বাকি ৪৮ হাজার ৪৭৪টি পশু জেলার চাহিদা পুরন বিভিন্ন হাট ঘুরে চলে যাচ্ছে জেলার বাইরে।