ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৩, ১৫:৫৭

কোরবানির পশুর হাট। ছবি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমে উটতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাট। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে খামারি ও পাইকাররা কোরবানির পশু হাটে নিয়ে আসছেন। এসব হাটে পর্যাপ্ত সংখ্যক দেশীয় কোরবানির পশু রয়েছে। ছোট-বড় বিভিন্ন আকৃতির পশু থাকলেও ক্রেতাদের দৃষ্টি ছোট ও মাঝারি পশুর দিকেই।
ক্রেতা-বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এবার বাজারের অবস্থা ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। জেলা পুলিশ জানিয়েছে নির্বিঘ্নে পশুবাহী ট্রাক চলাচলে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক স্থানে পশুর হাট বসেছে। এর মধ্যে জেলা সদরে রয়েছে ৫টি হাট। প্রতিটি হাটেই দেশীয় গরুর পাশাপাশি মহিষ, ছাগলসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক কোরবানির পশু রয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে খামারি ও পাইকাররা এসব হাটে নিয়ে এসেছেন কোরবানির পশু। ছোট-বড় বিভিন্ন আকৃতির পশু থাকলেও ক্রেতাদের দৃষ্টি মাঝারি আকৃতির পশুর দিকে।
বিক্রেতারা জানান, সীমিত লাভেই তারা বিক্রি করছেন। ভীর থাকলেও বিক্রি তেমন বাড়েনি। ক্রেতাদের অনেকেই যাচাই করার জন্য হাটে আসছেন। তবে সামনের দিন গুলোতে বিক্রি বাড়বে বলে আশাবাদী।
অপরদিকে ক্রেতারা জানালেন, এখন পর্যন্ত দাম নাগালের মধ্যেই আছে। শেষ দিকে বাজার বাড়ার আশঙ্কায় অনেকে আগেই পছন্দের পশু কিনে নিচ্ছেন। পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি ও ছিনতাই রোধে পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি ও ছিনতাই প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থার পাশাপাশি হাট কেন্দ্রিক নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার। এবার দেড় হাজার কোটি টাকা কেনা-বেচার আশা করছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা।