
প্রতীকী ছবি
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার পারুলের চরে মদপানে হানিফ মিয়া (৩৩) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরো তিনজন অসুস্থ অবস্থায় সাঘাটা ও গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হানিফ মিয়া উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ খাটিয়ামারী গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, শনিবার দুপুরে হানিফ মিয়া তার শ্বশুরবাড়ি ফুলছড়ি ইউনিয়নের পারুলের চর গ্রামে আব্দুল মান্নান মিয়ার বাড়িতে ঈদের দাওয়াত খেতে আসেন। একই সাথে আসেন আরেক জামাই ফজলুপুর ইউনিয়নের খাটিয়ামারি গ্রামের আফছার মুন্সীর ছেলে আব্বাস উদ্দিন (৩২) ও ফুলছড়ি ইউনিয়নের দেলুয়াবাড়ী থেকে আসেন আরেক আত্মীয় শফিকুল ইসলাম (৩৪)।
দুপুরের খাবার শেষে দুই জামাই হানিফ মিয়া, আব্বাস উদ্দিন, আত্মীয় শফিকুল ইসলাম ও আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে সেবার উদ্দিন (৩৫) আনন্দ-ফুর্তি করার জন্য একটি ঘরে গিয়ে মদপান করেন। এর কিছুক্ষণ পরে হানিফ মিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। তার বাবা মনু মিয়া এসে ছেলে হানিফ মিয়াকে বাড়িতে নিয়ে যান। অপর তিনজনও অসুস্থ হয়ে পড়লে শফিকুল ইসলামকে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং আব্বাস উদ্দিন ও সেবার উদ্দিনকে গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে রাত ১১টার দিকে হানিয় মিয়া নিজ বাড়িতে মারা যান।
আজ রবিবার (২ জুলাই) সকালে ফুলছড়ি থানার পুলিশ মৃতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা মর্গে পাঠিয়েছে।
হানিফ মিয়ার বাবা মনু মিয়া বলেন, তার ছেলে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই।
গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. এস.এম তানভীর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অ্যালকোহল জাতীয় কিছু পান করার কারণে হানিফের মৃত্যু হয়েছে।
ফুলছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রজব আলী এ ব্যাপারে বলেন, ময়না তদন্তে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে স্পিরিট জাতীয় অ্যালকোহল পানে তার মৃত্যু হয়েছে। তার পরিবারের কোন অভিযোগ নেই। হানিফের বাবা মনু মিয়া একটি ইউডি মামলা দায়ের করেছেন।