ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৩, ১৪:১৬

গ্রেপ্তার আসামিরা। ছবি: নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সায়েদুল ইসলামকে (৩০) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি রশি উদ্ধার করেছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন, ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮০ নম্বর ক্লাস্টারের মো.জাফরের ছেলে ইছাক (৩০) ও ৭৮ নম্বর ক্লাস্টারের আবদুর রহমানের ছেলে নুর হোসেন (২৪)।
আজ বুধবার (৫ জুলাই) বিকেলে আসামিদের নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। এর আগে, একই দিন সকালে তাদের ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গত ২ জুলাই গভীর রাতে পূর্ব শত্রুতার জেরে জায়েদুলকে বেধড়ক পিটিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ৫৫ নম্বর ক্লাস্টারের ১৬ নম্বর কক্ষের বারান্দার সিঁড়ির কাছে রেখে যায়। সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে। পরে ২০ শয্যা বিশিষ্ট ভাসানচর হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার ভোর রাতের দিকে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে ৮-১০জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় ঘটনার পূর্বে ভিকটিম সায়েদুল ইসলাম তার লোকজন নিয়ে মামলার এজাহারনামীয় আসামি ইব্রাহিমকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করেন এবং এক পর্যায়ে ইব্রাহিমকে ছেড়ে দেন। বিষয়টি এজাহারনামীয় আসামিরা প্রকাশ না করে তাহাদের মধ্যে ভিকটিমের প্রতি ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। পরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে রোহিঙ্গা ইছাক, নুর হোসেন ওরফে কালা ডাক্তার (২৪), মো.আনাস ওরফে আনিস (২৫), নুরুল আমিন (৪০), জলিল (৩৫) ও বুড়া ভিকটিমকে ক্লাস্টার নং-৫৫ এর সামনে পাকা রাস্তার উপর হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠি, দা দিয়ে গুরুতর জখম করে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য পায়ে রশি বেঁধে ৫৫ নম্বর ক্লাস্টারের সামনে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে আসামিরা পালিয়ে যান বলে তারা স্বীকার করেন।