
চাহিদা থাকায় মুখীকচু চাষে বেশ লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
কুড়িগ্রামের তিন উপজেলাতে মুখীকচু সবজি চাষ কম খরচে লাভজনক হওয়ায় এই চাষে ঝুঁকে পড়ছেন প্রান্তিক কৃষকরা। শুধু মুখীকচু নয়। মুখীকচুর পাশাপাশি লতিকচু ও পানিকচু চাষে খুব বেশি সারসহ কীটনাশকের প্রয়োজন পড়ে না। তাই এ সব চাষে খরচ কম। উৎপাদন ভালো ও পাইকারি এবং খুচরা বাজারগুলোতে ব্যাপক চাহিদা থাকায় চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী, রাজারহাট ও উলিপুরে ব্যাপকভাবে মুখীকচুর চাষ হচ্ছে।
এসব উপজেলার কৃষি বিভাগ নিয়মিত চাষিদের উৎসাহ ও পরামর্শ প্রদান করে আসছে। ফলে অল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় মুখীকচু, লতিকচু ও পানিকচু চাষে একদিকে যেমন আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের, অন্যদিকে মৌসুমি এই কাজে নিম্ন আয়ের পরিবারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্তিতে কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ পরিবারগুলোতে বাড়তি আয়ের ব্যবস্থাও হচ্ছে।
ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ও ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা যায়, বিঘার পর বিঘা দেশি ও উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের মুখীকচু, লতিকচু ও পানিকচুর চাষাবাদ করা হয়েছে। সেই কচুর সবুজ পাতা-গাছ বাতাসে দোল খাচ্ছে। দেখে মনে হয় এ যেন এক সবুজের সমারোহ।
রাজারহাট সদর ইউনিয়নের কেন্দ্রা এলাকার মুখীকচু চাষি জিতু মিয়া বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও কৃষি বিভাগের পরামর্শে ১ বিঘা জমিতে মুখীকচু চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় তেমন কোনো রোগবালাই না হওয়ায় বিঘাপ্রতি ৬০-৭০ মণ কচু উৎপাদনের আশা করছি।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন বলেন, মুখীকচু সবজি চাষে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা ও নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হয়। ফলে চলতি মৌসুমে ফুলবাড়ী উপজেলায় মুখীকচু ৩৫ হেক্টর, লতিকচু ১০ হেক্টর ও পানিকচু ৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ায় পাশাপাশি অল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এ বছর ৪ থেকে ৫ হেক্টর বেশি জমিতে মুখীকচুর চাষাবাদ বেড়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, মুখীকচু চাষে যেখানে যে সহায়তা দরকার তা দিতে কৃষি বিভাগ সবসময় প্রস্তুত আছে।