
যুবলীগ নেতা রিপন দাম। ছবি: জামালপুর প্রতিনিধি
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মদ খেয়ে মাতলামি করায় রিপন দাম নামে এক যুবলীগ নেতাকে গণধোলাই দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এসময় তিনি একটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা।
অভিযুক্ত রিপন দাম জেলা যুবলীগের সহসভাপতি। একইসাথে তিনি সরিষাবাড়ী উপজেলা যুবলীগের সমন্বয়কারী।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সারাদিন বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ এলাকায় তোলপাড় চলছিল।
স্থানীয়রা জানান, যুবলীগ নেতা রিপন দাম মদ খেয়ে বুধবার (১২ জুলাই) রাতে সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের বয়ড়া বাজারে যান। এসময় তিনি মাতলামি শুরু করলে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে রিপন তাদের গালাগালি শুরু করলে উত্তেজিত জনতা তাকে ধরে গণধোলাই দেয়। এসময় তিনি কৌশলে একটি মোবাইল ফোন নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি ফরিদ আহমেদ জানান, রিপন দাম দেশীয় মদ খেয়ে আসেন। স্থানীয়দের সাথে খারাপ আচরণ শুরু করলে আমি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করি। এসময় তিনি আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি কৌশলে নিয়ে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি পোস্ট করা হলেও জেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দের অনুরোধে এসব ডিলিট করা হয়েছে এবং ঘটনাটি মীমাংসার প্রক্রিয়া চলছে বলেও ফরিদ আহমেদ জানান।
এদিকে যুবলীগ নেতা রিপন দামের বিরুদ্ধে মাদকসংশ্লিষ্টতা ছাড়াও চাঁদাবাজি ও পদবাণিজ্যসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন যুবলীগ নেতাকর্মীরা।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এ কে এম আশরাফুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি নিয়ে আমি রিপন দামের সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি আমার ওপর উত্তেজিত হন। একপর্যায়ে তিনি আমাদের জেলা শহরে প্রবেশ করতে দেবেন না বলেও জানান।
জেলা যুবলীগের সহসভাপতি ও সরিষাবাড়ী উপজেলা যুবলীগের সমন্বয়কারী রিপন দাম অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, বিষয়গুলো তার জানা নাই।
এ ব্যাপারে জেলা যুবলীগের সভাপতি রাজন সাহা রাজুর বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে কল করলেও বন্ধ পাওয়া যায়।