সাভারের হেমায়েতপুরে একটি মসজিদের দখল নিতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নারীসহ তিনজন আহত হয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে। 

আজ শনিবার (২২ জুলাই) সাভার মডেল থানায় এ ঘটনায় একটি অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী মো: মোস্তফা।

এর আগে, সকালে হেমায়েতপুরের হরিণধরা এলাকায় বায়তুল লতিফ জামে মসজিদ দখল নিয়ে মোস্তফাদের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।

আহতরা হলেন- মো: মোস্তফা (৩৮), তার বোন রুনু বেগম ও মোস্তফার বাক প্রতিবন্ধী ভাগ্নি।

অভিযুক্তরা হলেন- শিমুল (৩০), ফারুক (৩৫), সজিব (২৮), আরিফুল (৪২), ইয়াকুব (৬৫), সুমন (৪৫), সোলায়মান (৬৫) ও ইউনুস (৬২)। তারা সবাই হেমায়েতপুরের হরিনধরার বাসিন্দা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী মোস্তফাদের ৫ শতাংশ জমির উপর বায়তুল লতিফ জামে মসজিদটি তৈরি করেন। ওই মসজিদে গত ৬ মাস যাবৎ নামাজ আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু সম্প্রতি শিমুলসহ বাকিরা মসজিদটি দখল করতে পাঁয়তারা শুরু করেন। গত ১৯ জুলাই মসজিদের ইমাম জাকারিয়া বখতিয়ার ফরিদীকে মারধর করে মসজিদ তালা ঝুলিয়ে দেন সুমনরা। আজ সকালে মোস্তফা মসজিদ খুলে দেওয়ার জন্য সুমনদের বলতে গেলে তারা অতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মোস্তফার ওপর হামলা চালান। এসময় মোস্তফার বোন ও ভাগ্নি আটকাতে গেলে তাদেরকেও মারধর করা হয়।

আহত মোস্তফার স্ত্রী হালিমা বেগম বলেন, অনেক দিন যাবৎ মসজিদ দখল করা জন্য চেষ্টা করে আসছেন সুমন ও তার লোকজন। আমাদের মসজিদের ইমামকেও তারা মেরে বের করে দিয়েছেন। আজ আমার স্বামীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন। আর তার বোন ও ভাগনিকেও মেরেছেন। তারা সবাই হাসাপাতালে ভর্তি আছেন।

এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ট্যানারী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাসেল মোল্লা বলেন, আমি ঘটনাটি জেনেছি। থানায় একটি অভিযোগও করেছেন ভুক্তভোগীরা। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।