চট্টগ্রামে বৃষ্টির পানিতে ডুবলো মেয়রের বাড়ি-গাড়ি

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৩, ১৬:০৮

মেয়রের বাড়ির ভিতরে হাঁটুপানি। ছবি: সংগৃহীত
টানা বৃষ্টির পানিতে ডুবেছে চট্টগ্রাম নগরীর বেশ কয়েকটা এলাকা। মধ্যরাত থেকে হওয়া বৃষ্টিতে নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আজ শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত বৃষ্টিতে আরও কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে নগরীর বেশ কিছু এলাকার সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পায়নি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়িও।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বহদ্দারহাটের বাড়িতেও পানি ঢুকেছে। তার বাসার সামনের সড়কে হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি জমেছে। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরীর বাসিকে।
নগরীর বহদ্দারহাট এলাকার বাসিন্দা মীর বরকত হোসাইন সাম্প্রতিক দেশকালকে জানান, টানা বৃষ্টিতে গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) মধ্যরাত থেকে বহদ্দারহাটে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বহদ্দারহাট এলাকায় চসিক মেয়রের বাসভবন। সেখানেও পানি ঢুকেছে। বাড়ির সামনের সড়কে কোমর সমান পানি জমেছে। এছাড়াও বহদ্দারহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড সড়ক থেকে শুরু করে বিভিন্ন সড়ক পানিতে ডুবেছে। এসব সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বহদ্দারহাট মূল সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, পানি ঢুকেছে চাকতাই-খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন পণ্যের গুদামে। পাশাপাশি নগরীর বাকলিয়া মিয়াখান নগর, মাস্টারপোল, চকবাজার, ষোলশহর, হালিশহর, বহদ্দারহাট, কমার্স কলেজ সংলগ্ন এলাকা, ছোট পোল, বড় পোলসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
বৃষ্টিতে নগরের ষোলশহর দুই নম্বর গেট থেকে মুরাদপুরের দিকের সড়ক, আতরার ডিপো থেকে হামজারবাগ সিনেমা গলি, প্রবর্তক মোড়, চকবাজারের কাপাসগোলা, বাকলিয়া, রিয়াজউদ্দিন বাজার, বহদ্দারহাটের কিছু অংশসহ নগরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন এসব এলাকায় বাসিন্দারা। এসব এলাকার ছোট ছোট নালায় আবর্জনা আটকে থাকায় অলিগলি ছেড়ে সড়কেও পানি জমতে দেখা গেছে।
এ প্রসঙ্গে মুঠোফোনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি নাথ সাম্প্রতিক দেশকালকে জানান, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে। সকাল ৯টা ১ মিনিট থেকে জোয়ার শুরু হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে জোয়ারের পানি যোগ হয়ে শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। ভাটা শুরু হবে দুপুর আড়াইটা থেকে। তখন শহরের পানি কমবে।