Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

নিখোঁজ যুবক উদ্ধার হয়নি, রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে ধস

Icon

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২৩, ২১:০২

নিখোঁজ যুবক উদ্ধার হয়নি, রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে ধস

পাহাড়ি ঢলের কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ১২৪টি ঘর ও পাঁচটি হাটবাজার পানিতে ডুবে আছে। ছবি: প্রতিনিধি

গতকাল সোমবার (৭ আগস্ট) সকালে রাঙ্গামাটির বরকল উপজেলার সুবলংয়ে কাপ্তাই হ্রদে স্রোতের ডুবে এক যুবক নিখোঁজ হয়েছিলেন। দুপুর থেকে উদ্ধার অভিযান চালায় ডুবুরি দল। তবে হ্রদে স্রোত থাকায় উদ্ধার করা যায়নি সেই যুবককে।

ঘটনার ২৪ ঘন্টা পার হয়ে হলেও এখনো সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ যুবকের। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, তীব্র স্রোতের পানিতেই সলিল সমাধি হয়েছে ওই যুবকের। আজ মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে বরকলের ইউএনও নাজমা বিনতে আমিন জানান, নিখোঁজ যুবকের এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। গতকাল (সোমবার) হ্রদে তীব্র স্রোত থাকায় উদ্ধার করা যায়নি।

এদিকে, আজ মঙ্গলবার সকালে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের মহালছড়ির কাছাকাছি এলাকায় দুইটি স্থানে পাহাড় ধসে পড়েছে সড়কের ওপর। তবে সওজ স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে মাটি সরিয়ে ফেলার কাজ করছে। 

সড়ক ও জনপথ (সওজ) রাঙ্গামাটি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা জানান, রাঙ্গামাটির বিভিন্ন সড়কে ছোট বড় পরিমাণে মাটি ধসে পড়ছে। তবে আজ রাঙ্গামাটি-মহালছড়ি (খাগড়াছড়ি) সড়কের দুইটি স্থানে বেশি পরিমাণ মাটি ধসে পড়ে। আমরা স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে মাটি সরানোর কাজ করছি। তবে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে, বান্দরবানের সঙ্গেও সড়ক পথে ভারী যানবাহন চলা বন্ধ রয়েছে। সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ফেরিতে ত্রুটির কারণে আপাতত ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। জরুরি প্রয়োজনীয় ছোট যানবাহন সিএনজিঅটোরিকশা-মোটরসাইকেল পারাপার করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

জেলা প্রশাসন থেকে সর্বশেষ দেয়া তথ্য মতে, গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া টানা ছয় দিনের ভারি বর্ষণে জেলার ১৯৭টি স্থানে ছোট-বড় ভাঙন ও পাহাড় ধসে হয়েছে। ধসের ফলে জেলায় ৩৮১টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে আশ্রয়ণের ঘরও রয়েছে ১৩টি। জেলার ৬৮৩ একর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এছাড়া রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কসহ জেলার ৭৫টি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ১২৪টি ঘর ও পাঁচটি হাটবাজার পানিতে ডুবে আছে। জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়ন ও জুরাছড়ির চারটি ইউনিয়নেরই নিম্নাঞ্চল এখনো প্লাবিত রয়েছে। ২৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন প্রায় ২ হাজার মানুষ।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫