বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌনপল্লীতে বিক্রি, যুবতী উদ্ধার

শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৩, ২২:১৪

শ্রীবরদী থানা। ফাইল ছবি
শেরপুরের শ্রীবরদী থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌনপল্লীতে বিক্রির অভিযোগ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামালপুর যৌনপল্লী থেকে যুবতীকে (২০) উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) ভিকটিমকে শেরপুরের বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
শ্রীবরদী থানার খড়িয়া কাজির চড় ইউনিয়নের বাসিন্দা ভিকটিমের মা শ্রীবরদী থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এতে বলা হয়, তার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভনে ফুঁসলিয়ে নিয়ে জামালপুর যৌনপল্লীতে পাচার করা হয়েছে। এ অভিযোগ পেয়ে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতেই জামালপুর যৌনপল্লী থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার একমাত্র আসামি শেরপুর সদর থানার চর শেরপুর নিজপাড়া গ্রামের মোঃ ইসমাইল হোসেন ওরফে ডাইয়ার ছেলে মোঃ লোকমান মিয়া (২৩) তাদের পূর্ব পরিচিত।
সেই সুবাদে আসামি ইসমাইল হোসেন ওই যুবতীকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা প্রলোভন দেখিয়ে যাচ্ছিল। আসামি ইসমাইল ঘটনার দিন ওই যুবতীর পিতার বসত বাড়িতে এসে ওই যুবতীকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়। এদিকে ভিকটিমকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে পরিবারের লোকজন।
গত ৫ আগস্ট একটি অপরিচিত মোবাইল নম্বর থেকে ভিকটিমের মায়ের মোবাইল নাম্বারে একটি ফোন কল আসে। কলটি রিসিভ করার পর ওপাশ থেকে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকে। ভিকটিমের মা তার মেয়ের কন্ঠস্বর চিনতে পারলেও ফোনটি তৎক্ষণাৎ কেটে দেয়া হয়। পরবর্তীতে আরও একটি মোবাইল নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে ভিকটিম বলে যে, সে জামালপুর যৌনপল্লীতে আছে। পরে ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য শ্রীবরদী থানায় অভিযোগ দায়ের করে ভিকটিমের মা।
উক্ত বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে শ্রীবরদী থানার মামলা (নং-১২ তারিখ-৯-০৮-২৩ ধারা- মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ১০/১১) রুজু করা হয় এবং অভিযানে নামে পুলিশ।
ভিকটিমের মা বলেন, কি করবো বুঝতে পারছিলাম না, কোথাও সহযোগিতা না পেয়ে শেষে শ্রীবরদী থানায় আসি।
এবিষয়ে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, ভিকটিমের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতেই জামালপুর যৌনপল্লী থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এজন্য নানা প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শিগগিরই তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।