গলায় ওড়না পেঁচিয়ে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী আটক

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৩, ১২:১৮

গ্রেপ্তারকৃত শাকিল মিয়া। ছবি: মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে আটক করেছে রাজনগর থানা পুলিশ।
গতকাল রবিবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টায় মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিং করে পুলিশ সাংবাদিকদের জানায়, জেলার রাজনগর উপজেলার পশ্চিম কামারচাক ইউনিয়নের কালাইকোনা গ্রামের মৃত কামিল মিয়ার মেয়ে শারমিন আক্তার (২২) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক থেকে একই উপজেলার আদমপুর গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (২৪) এর সাথে ৪ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের রবিউল নামের ২ বছরের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের কারণে শারমিন আক্তার তার সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে। গত ২ মাস ধরে শারমিন তার বাবার বাড়িতেই বসবাস করছে।
পুলিশ আরও জানায়, রবিবার সকাল ১০টার দিকে শারমিন আক্তারের স্বামী শাকিল মিয়া তার স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য শ্বশুর বাড়িতে যায়। শারমিনের মা বাড়িতে না থাকায় স্বামী-স্ত্রী পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে শাকিল মিয়া স্ত্রী শারমিনকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে মৃতদেহ ফেলে পালিয়ে যায়। পরে তাদের ২ বছরের সন্তান রবিউলের কান্না শোনে প্রতিবেশীরা বাড়িতে এসে দেখেন, শারমিনের গলায় ওড়না পেঁচানো মৃতদেহ একটি চেয়ারে পড়ে আছে। স্থানীয়রা এ ঘটনা কামারচাক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমানকে জানায়। চেয়ারম্যান বিষয়টি রাজনগর থানায় অবহিত করলে রাজনগর থানার এসআই মো. কামাল উদ্দিনসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত শারমিন আক্তারের মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। হত্যাকারী ঘাতক শাকিল মিয়াকে আটক করতে পুলিশ মাঠে নামে। এক পর্যায়ে ঘটনার ৬ ঘণ্টার মধ্যে রাজনগর থানার এসআই সুলেমান আহমদ, এসআই মো. সওকত মাসুদ ভূইয়া, এসআই উবায়েদ আহমদ, এসআই মোহাম্মদ আজিজুল গাফফারসহ পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ঘাতক শাকিল মিয়াকে রাজনগর উপজেলার টেংরাবাজার ইউনিয়নের সৈয়দনগর ভাঙ্গারহাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে।