
প্রতীকী ছবি
বরিশাল সদর উপজেলার টুংগিবাড়িয়া ইউনিয়নে আদালতের স্থিতাবস্থা জারি করা বিরোধপূর্ণ জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা হয়েছে।
মামলায় বরিশাল জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ জেলা প্রশাসন ও ভূমি অফিসের পাঁচ কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে।
আজ রবিবার (২০ আগস্ট) বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে টুংগিবাড়িয়া কাজলাকাঠি ও বারৈকান্দি এলাকার ১৫ জন বাসিন্দা বিবাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আদালত বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান।
মামলার বিবাদীরা হলেন- জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহ মো. রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান ও টুংগিবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।
মামলায় বলা হয়েছে, বরিশাল সদর উপজেলার অন্তর্গত টুংগিবাড়িয়ায় সাবেক জে.এল ৭৮ তথা বিএস, জে.এল ১৩০ নং বারৈকান্দি মৌজার এস.এ ১৭২, ২১৮ নং খতিয়ানের ৬১৫, ৬১৫/৯১২ নং দাগের দশমিক ৩৮ একর তথা বিএস চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত ১নং খতিয়ানের বি.এস. হাল ১৩২৫ নং দাগের দশমিক ০৪ একর এবং বি.এস. হাল ১৩২৯নং দাগের দশমিক ৩৪ একর, দশমিক ৩৮ একর ভূমি আদালতের স্থিতাবস্থা রয়েছে।
আরো উল্লেখ করা হয়েছে, উল্লেখিত সম্পত্তির স্বত্বের ঘোষণার প্রতিকারে দেওয়ানী মামলা করেন বাদী পক্ষ। এর প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর বিবাদী পক্ষকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করেন আদালত। তবে বিবাদীরা শোকজের জবাব না দেওয়ায় আদালত চলতি বছরের গত ১৭ এপ্রিল বিবাদী পক্ষের আপত্তি দাখিল না করা পর্যন্ত উভয় পক্ষকে স্ব স্ব দখল ও ব্যবহার অনুসারে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।
পরবর্তীতে গত ২৬ জুলাই বিবাদী পক্ষ আদালতে আপত্তি দাখিল করলে আদালত ওইদিনই দুই তরফা শুনানি না হওয়া পর্যন্ত বিরোধপূর্ণ জমিতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।
কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই গত ১৩ আগস্ট বিরোধপূর্ণ জমিতে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে। এসময় বাদীপক্ষ আদালতের স্থিতাবস্থার বিষয়টি জানালেও তা মানতে অপারগতা প্রকাশ করেন বিবাদীপক্ষ। তাই আদালতে মামলা করে এ বিষয়ে সুবিচারসহ প্রতিকার চেয়েছেন বাদী পক্ষ।
এ প্রসঙ্গে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘গত ১৩ আগস্ট আমাদের কোন কাজ শুরু হয়নি। টুংগিবাড়িয়ায় আমাদের দুটি কাজ চলমান রয়েছে। যা অনেক আগেই শুরু হয়েছে। ইতিপূর্বে জমি নিয়ে একটা ঝামেলা ছিল সেটা আমরা ছেড়ে দিয়েছি। নতুন করে আদালতের কোনো আদেশ আমাদের কাছে আসেনি এমনকি কেউ কোন ব্যক্তিও আমাদের কাছে আসেনি। আদালতের আদেশ পেলে সে অনুযায়ী আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।