Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

ভাসমান পেয়ারার হাট

দাম ভালো পেলেও কম ফলনে হতাশ কৃষক

Icon

রহিম রেজা, ঝালকাঠি

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৩, ২১:২০

দাম ভালো পেলেও কম ফলনে হতাশ কৃষক

ছবি: ঝালকাঠি প্রতিনিধি

দেশের একমাত্র ভাসমান পেয়ারার হাট ঝালকাঠির ভীমরুলী উপজেলায়। এখানে পেয়ারা বেচাকেনা দেখতেও ভিড় করে অনেক মানুষ। তাই পেয়ারার হাট যেন হয়ে ওঠে পর্যটক স্পট। এ বছর পেয়ারার দাম বেশি পেলেও প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে ফলন কম হওয়ায় হতাশ কৃষক। 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঝালকাঠি, বানারীপাড়া ও স্বরূপকাঠি উপজেলার ৫৫ গ্রামের পেয়ারা বাগানকে ঘিরে ভাসমান পেয়ারার হাট পর্যটকে মুখরিত হয়ে উঠেছে।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, ঝালকাঠি সদর উপজেলার ১৩ গ্রামে ৩৫০ হেক্টর জমিতে, বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার ১৬ গ্রামে ৯৩৭ হেক্টর, পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলার ২৬ গ্রামে ৬৪৫ হেক্টর জমিতে পেয়ারা চাষ হয়। 

চাষিরা জানান, আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবে অর্ধেকেরও কম ফলন হয়েছে। পেয়ারা গাছে যে পরিমাণ ফুল এসেছিল বৃষ্টিপাত না হওয়ায় তা অনেকটাই ঝরে গেছে।

কৃষক দেবব্রত হালদার বিটু বলেন, পেয়ারা আমাদের মৌসুমি আয়ের একমাত্র অবলম্বন। পেয়ারার ফলন ভালো হলে আমাদের সচ্ছলতা আসে। পানির ওপরই ভাসমান হাটে বছরে কোটি টাকা লেনদেন হয়। অস্থায়ী কিছু দোকান বসে পাইকার, পর্যটক বা দর্শনার্থীদের জন্য। তাদের আপ্যায়ন বা ক্ষুধা নিবারণের মাধ্যমে ব্যবসা করে আর্থিকভাবে লাভবান হন বিক্রেতারা। 

ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম জানান, এ বছর হেক্টরপ্রতি সাড়ে ১১ থেকে ১২ মেট্রিক টন পেয়ারার ফলন হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার পেয়ারা বেচাকেনা হচ্ছে। ঝালকাঠির পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে সার্বক্ষণিক মনিটর করা হচ্ছে এবং টহল পুলিশ রয়েছে।

ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম জানান, ভাসমান পেয়ারা হাটের সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ সব রকম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫