সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ সড়কের নলজুর নদীর কাটাগাঙ্গের বেইলি ব্রিজ ভেঙে নিখোঁজ ট্রাক চালকও হেলপারের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

আজ মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় দুর্ঘটনাস্থল থেকে ট্রাকের ভেতর থাকা চালক ফারুক মিয়া ও হেলপার জাকির হোসেনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনার পর থেকে জগন্নাথপুর হয়ে সুনামগঞ্জ-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। দুই পাশে অনেক যানবাহন আটকা পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাগলা জগন্নাথপুর আউশকান্দি রাণীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের এ বেইলি সেতু দীর্ঘদিনের পুরনো। জগন্নাথপুর বাজারের রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী শাকিল আহমদের একটি সিমেন্ট ভর্তি ট্রাক জগন্নাথপুর আসার পথে ট্রাকটি সেতু পার হওয়ার সময় অতিরিক্ত সিমেন্ট বহন করার স্টিলের পাটাতন খুলে ট্রাকটি নলজোড় নদীতে তলিয়ে গিয়ে ট্রাকের ভেতর থাকা চালক ফারুক মিয়া ও হেলপার জাকির হোসেন নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে দিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। প্রায় ২ ঘন্টা পর সন্ধ্যায় নিখোঁজ ২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

সাকিল মিয়াসহ স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, এ দুর্ঘটনার আগেও অনেকবার বেইলি সেতুর পাটাতন খুলে যাওয়ার কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। গেল দুই বছর ধরে রাজধানী ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ ২ ঘণ্টা সময় সাশ্রয় করতে এ রুট যানবাহন চলাচল চালু হয়। চালুর পর থেকে এ রুটে যাত্রীবাহী বাস, মিনিবাস ও ট্রাক চলাচল করে।

রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী শাকিল আহমদ জানান, আমার দোকানের জন্য সিমেন্ট নিয়ে আসছিল ট্রাকটি, আসার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়।

ট্রাক চালক ফারুক মিয়ার বাড়ি কোম্পানীগঞ্জ ও হেলপার জাকির মিয়ার বাড়ি এয়ারপোর্ট থানা এলাকার বাসিন্দা।

জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, ব্রিজ ভেঙে নদীতে তলিয়ে যাওয়ার ট্রাকের ভেতর থাকা চালক ফারুক ও হেলপার জাকিরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।