গাজীপুরের চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৩, ১৫:৫০

গ্রেপ্তারকৃত মাসুদ রানা। ছবি: গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গৃহবধূ হাফিজা আক্তার (২৮) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাব। ওই গৃহবধূ হত্যার মামলার প্রধান হত্যাকারী মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পারিবারিক কলহের জেরে দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যার পর ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার দুই মাস পর র্যাব-১ পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের সদস্য স্বামীকে গ্রেপ্তার করে। আজ রবিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে প্রেসব্রিফিংয়ে তথ্য নিশ্চিত করেছেন, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১ পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. ইয়াসির আরাফাত হোসেন ।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত মাসুদ রানা (৪৬) পাঁচ বছর আগে প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন রেখে হাফিজা আক্তারকে পারিবারিকভাবে বিবাহ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে তাদের মধ্যে প্রতিনিয়ত পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিলো। গত ২৭ জুন ওই বিষয় নিয়ে আবারও ঝগড়া হলে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে তার স্বামী মাসুদ রানা। পরে ২৮ জুন সকালে মাসুদ রানা তার শ্যালক সাব্বিরকে তার বোন অসুস্থ হওয়ার কথা বলে ভাড়া বাসায় ডেকে নেয় ।সাব্বির বাসায় গিয়ে বোনকে ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে নিহতের বাবা হাসেম সিকদার বাদী হয়ে ওই ঘটনায় কালিয়াকৈর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।
কালিয়াকৈর থানা পুলিশ লাশ ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরণ করেন। মেডিকেল রিপোর্টে শারীরিকভাবে আঘাত করে ও শ্বাসরোধে হত্যার প্রমাণ মিলে। পরে কালিয়াকৈর থানা পুলিশের সংবাদ পেয়ে নিহত হাফিজার বাবা হাসেম সিকদার বাদী হয়ে মাসুদ রানাসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে অভিযুক্ত করে কালিয়াকৈর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজু হওয়ার পর হতে মাসুদ রানা গ্রেপ্তারের ভয়ে পলাতক থাকেন।
পরবর্তীতে এই হত্যাকাণ্ডের আসামি গ্রেপ্তারের জন্য র্যাব-১ পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য ছায়া তদন্ত শুরু করে। গতকাল শনিবার (২৬ আগস্ট) রাতে র্যাব মামলার প্রধান আসামি মাসুদ রানাকে ঢাকার আশুলিয়ার কোন্ডলবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-১ পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. ইয়াসির আরাফাত হোসেন জানান, হাফিজাকে হত্যার পর বিষয়টি আড়াল করতে ৩/৪ জনের সহায়তায় ফ্যানের সাথে ঝুলে রাখে বলে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দী দিয়েছে মাসুদ রানা। তার বিরোধে বিভিন্ন থানায় আরও কয়েকটি মামলা রয়েছে । আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।