
(ঝিনাইদহ-৪) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। ছবি: ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
অবশেষে সমালোচনার মুখে স্কুলের দোকান ভাড়ার টাকা ফেরত দিয়েছেন (ঝিনাইদহ-৪) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জায়গায় নির্মিত ২০টি দোকান ভাড়ার ৪ লক্ষ টাকা কর্তৃপক্ষের কাছে ফেরত দিয়েছেন তিনি। পে-অর্ডারের মাধ্যমে এ টাকা স্কুল কর্তৃপক্ষকে প্রদান করা হয়। কালীগঞ্জ ক্রীড়া ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বকেয়া টাকা স্কুল কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়।
গত ১৮ অক্টোবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘স্কুলের দোকান ভাড়ার টাকা যায় এমপির এ্যাকাউন্টে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর স্কুলের পাওনা বকেয়া টাকা প্রদান করা হয় বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ২০১৬ সাথে স্কুলটি জাতীয়করণের আগে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। সভাপতি থাকাকালীন স্কুলের ২০টি দোকানের ভাড়ার টাকা কালীগঞ্জ ক্রীড়া ফেডারেশনের অধীনে জমা নেওয়া হবে বলে রেজুলেশন করা হয়। প্রতিমাসে দোকান প্রতি ৪০০ টাকা স্কুলকে প্রদান করার কথা থাকলেও নিয়মিত পরিশোধ করেননি। তিনি একই সাথে কালীগঞ্জ ক্রীড়া ফেডারেশনের সভাপতি। সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের একটি হিসাব নম্বরে (০০৭৯১১১০০০০১১) ভাড়া ও চুক্তিমূল্য পরিশোধ করে দোকান মালিকরা। হিসাব নম্বরটির গ্রাহকের নাম অরিন এন্টার প্রাইজ। অরিন এন্টার প্রাইজ (ঝিনাইদহ-৪) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
স্কুলটির
প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন তোতা বলেন, দুই
দিন পর শাহজালাল ইসলামী
ব্যাংকের পে-অর্ডারের মাধ্যমে
৪ লক্ষ টাকা পেয়েছি।
অজিৎ ভট্টাচার্য ও জামির হোসেনের
যৌথ স্বাক্ষরে পে-অর্ডারটি পাঠানো
হয়। সেটি গত ২০
তারিখে ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়েছে।
এ পর্যন্ত ৫ লক্ষ টাকা
পেয়েছি। এখনো অল্প কিছু
টাকা বাকি আছে।
তিনি
আরো জানান, ঘরগুলো বুঝে নেওয়ার জন্য
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ
নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য,
বিদ্যালয়ের জমিতে ৪টি ভবনে ছোট-বড় ২০টি দোকান
রয়েছে। একটি ভবনের ২য়
ও ৩য় তলায় স্কুল
কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে বানানো
হয়েছে দলীয় কার্যালয়। এছাড়া
অন্য একটি ভবনে দুই
তলা নির্মাণ করে কালীগঞ্জ ভূষিমাল
ব্যবসায়ী সমিতি নামে একটি কার্যালয়
ভাড়া দেওয়া হয়েছে। গত ৮ বছরে
প্রায় ৭ লাখ ৬৮
হাজার টাকা স্কুলকে প্রদানের
কথা ছিল।