গাইবান্ধায় দীর্ঘ এক যুগ ধরে বন্ধ থাকার পর চালু হওয়া রামসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হাসানগঞ্জ স্টেশনে যাত্রাবিরতির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

আজ বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭ টার দিকে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের হাসানগঞ্জ রেলওয়ে চত্বরে রামসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১০ মিনিট থামিয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ অবস্থান কর্মসূচিতে অন্যান্য সকল স্টেশনে গাড়ি থামানোর মতো হাসানগঞ্জ স্টেশনে গাড়ি থামার জন্য দাবি করেন হাসানগঞ্জ স্টেশন উন্নয়ন কমিটিসহ এলাকাবাসী। 

দীর্ঘ ১ যুগ পর সম্প্রতি রামসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু হওয়ার পর সেখানে সব স্টেশনের নাম উল্লেখ থাকলেও হাসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের নাম উল্লেখ ছিল না। 

তাই এলাকার জনসাধারণ পূর্বের ন্যায় মরহুম আবু হাসান সরকারের নির্দেশিত পথে তাদের অধিকার আদায়ের দাবিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং আজ ট্রেনটি থামাতে সক্ষম হয়। 

এ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, হাসানগঞ্জ রেল স্টেশনে যতক্ষণ না পর্যন্ত রামসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি দেওয়া না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত রেলগাড়ি থামিয়ে কর্মসূচি চলবে। অন্যথায় বড় আন্দোলন করার হুশিয়ারি দেন তারা। বক্তারা আরো বলেন, হাসানগঞ্জ স্টেশনে রামসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি এটা আমাদের প্রাণের দাবি।

এসময় বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান, বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো.নাজমুল হুদা, উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি মো. জহুরুল ইসলাম বাদশা, আওয়ামী লীগ ইউনিয়ন শাখার সহ-সভাপতি  মো. আ. খালেক গাফলাদার, বাংলাদেশ  আওয়ামী লীগ ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি মো. জাকির হোসেন, সহকারী শিক্ষক মো. ফজলুল হক মন্ডল, ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো.আশরাফুল সরকার, মো. আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সাল থেকে আজ প্রায় ৩৮ বছর পূর্বের ঘটনা ১নং বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আবু হাসান সরকারের নেতৃত্বে ও এলাকার জনসাধারণের সার্বিক সহযোগিতায় হাসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। অনেক বাধা বিপত্তি অতিক্রম করতে হয়েছে স্টেশনটি প্রতিষ্ঠা করতে। কাউকে যেতে হয়েছে জেলে আবার কাউকে নিজের প্রাণও বিসর্জন দিতে হয়েছে তারপরও দাবি ছিল একটাই স্টেশন চাই। তবে এত বাধা বিপত্তির পরও তারা কিন্তু তাদের দাবি আদায়ে সফল হয়েছিল।