Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

কেঁচো চাষে বদরুলের ভাগ্য বদল

Icon

নাছরুল্লাহ আল কাফী, পিরোজপুর

প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৭:৪১

কেঁচো চাষে বদরুলের ভাগ্য বদল

ছবি: পিরোজপুর প্রতিনিধি

কাঁচা গোবর থেকে কেঁচোর মাধ্যমে তৈরি করেন ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কেঁচো সার তৈরিতে ভূমিকাও রাখছেন। বলছিলাম পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার চৌঠাইমহল গ্রামের সফল উদ্যোক্তা বদরুল হায়দার ব্যাপারীর কথা।

জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা এবং মাটির হারানো গুণাগুণ ফিরে পেতে ভার্মি কম্পোস্ট উল্লেখযোগ্য কাজ করে। সরকারি সহায়তায় কেঁচো সার ব্যবহারে দেশের কৃষিতে বিপ্লব ঘটতে পারে।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিনিয়ত যান্ত্রিকীকরণ হচ্ছে কৃষিব্যবস্থা। সেই সঙ্গে জমিতে অতিমাত্রায় রাসায়নিক সার ব্যবহারে কমছে মাটির উর্বরতা। ফসলের উৎপাদন বাড়াতে প্রতিদিনই বাড়ছে রাসায়নিক সারের ব্যবহার। মাটির উর্বরতা রক্ষায় ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার অন্যতম ভূমিকা পালন করে। যা ব্যবহার করে স্বল্প খরচেই অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব।

জাগো এগ্রো সলিউশনের স্বত্বাধিকারী বদরুল হায়দার ব্যাপারী বলেন, কেঁচো সার বিষয়ে মানিক বর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানি এবং উপজেলা কৃষি অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমি কিছুটা ধারণা নেই। তখন আমার মনে হলো কেঁচো সার আমার স্মার্ট কর্মসংস্থান হতে পারে। এই ধারণা নিয়ে কেঁচো সার উৎপাদনে স্বল্প পরিসরে কাজ শুরু করি। শুরুটা এবং পরবর্তী একটা লম্বা সময় ছিল প্রচণ্ড রকমের অসহযোগিতার। আমি যেন একটি নিন্দনীয় কর্ম করছি। সমাজে অচ্ছুত একটা কাজ করছি। মানুষ আমাকে পাগল বলত। সবাই খারাপ দৃষ্টিতে দেখেছে। এই খামারে বর্তমানে মাসে ১৫ টন সার উৎপাদন হয়। এক কথায় যদি বলি যে একটি লম্বা যুদ্ধের পর এক পর্যায়ে সরকারের স্বীকৃতি মিলেছে, বিক্রি বেড়েছে। এখন আমি তিনটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি বিআরডিসিকে সার দেই। এগ্রো সলিউশনে পাঁচজন স্থায়ী নারী কর্মচারী কাজ করলেও তিনজন পুরুষ কর্মচারী অস্থায়ীভাবে প্রয়োজনানুসারে কাজ করেন।

নাজিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইসরাতুন্নেছা এশা জানান, বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর দেশ। তবে মাটির স্বাস্থ্য দিন দিন খারাপ হচ্ছে শুধু রাসায়নিক সার ব্যবহারে। এই মুহূর্তে আমাদের প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা ও গুণাগুণ বৃদ্ধি করা। আর এই মাটির স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য প্রধান উপকরণ হচ্ছে জৈব সার। বর্তমান প্রচলিত জৈব সারের মধ্যে সবচেয়ে ভালো হলো ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার। এতে মাটির গুণাগুণ বৃদ্ধি পায়।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫