ইজারাদারকে কোপানোর মামলায় আ.লীগ নেতাসহ ৭ জনকে জেলে প্রেরণ

রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪:২৯

সাবেক জেলা আ. লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল হক মাসুদ। ছবি: রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহীর পুঠিয়ায় ঝলমলিয়া হাট ইজারাদার নাজমুল ইসলাম সুমনকে (৪৫) কোপানোর মামলায় সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৭ জনকে জেলে প্রেরণ করছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দেন অভিযুক্তদের মধ্যে ১৪ জন। আদালত ৭ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন। আর বাকি ৭ জনকে জেলে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
জামিন না মঞ্জুরকৃতরা হলেন- রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল হক মাসুদ, তয়েবুর রহমান, মাসুদ রানা, মোনায়েম খাঁ, মেহেদী হাসান, মিম হোসেন ও অপর একজন অজ্ঞাত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. মুন্সী আবুল কালাম আজাদ।
উল্লেখ্য, পুঠিয়া উপজেলার ঝলমলিয়া হাট ইজারার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিবুর রহমান মিঠু ও হাট ইজারদার নাজমুল ইসলাম সুমনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিলো। এর জেরধরে গত ৯ জুলাই বিকেলে জিউপাড়া ইউনিয়নের মধুখালি এলাকায় ভুক্তভোগী সুমনকে ছাত্রলীগ নেতা মিঠু ও তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন সুমনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। এঘটনার পরেরদিন ১০ জুলাই ভুক্তভোগীর পিতা নজরুল ইসলাম এহিয়া বাদী হয়ে সাবেক জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আহসান উল হক মাসুদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাকিবুর রহমান মিঠুসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে পুঠিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিবুর রহমান মিঠু (৩৮), তার ছোট ভাই রিপন (৩০) ও আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদের ছোট ভাই জুয়েল রানাকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেন। বর্তমানে উচ্চ আদালতের দেয়া সাময়িক জামিনে রয়েছেন তারা।