Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

এলজিইডির ব্রিজের স্ল্যাব তৈরিতে রডের পরিবর্তে সুপারি গাছ

Icon

পিরোজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:৪০

এলজিইডির ব্রিজের স্ল্যাব তৈরিতে রডের পরিবর্তে সুপারি গাছ

ব্রিজের স্ল্যাব তৈরিতে রডের পরিবর্তে সুপারি গাছ। ছবি: পিরোজপুর প্রতিনিধি

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় এলজিইডির ব্রিজ মেরামত কাজের স্ল্যাব তৈরিতে রডের পরিবর্তে সুপারি গাছের চেরা ব্যবহার করা হয়েছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের (কাঠালিয়া) নূরুল ইসলামের বাড়ির সামনে ব্রিজ মেরামতের কাজে ওই স্ল্যাব ব্যবহার করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) খবর পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই ব্রিজের তিনটি স্ল্যাব ভেঙে গেছে প্রতিটি স্ল্যাবে রডের পরিবর্তে ৫টি করে সুপারি গাছের চেরা দিয়ে স্ল্যাব ঢালাই করা হয়েছে। ব্রিজের প্রায় সবগুলো স্ল্যাবই ফেটে গেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীন এডিপির আওতায় কাউখালী ইউনিয়নে ৬টি উন্নয়ন কাজের একটি ওই ব্রিজ মেরামত কাজ। ওই ব্রিজ মেরামত কাজ বাস্তবায়ন করেন মেসার্স হালিমা এন্টারপ্রাইজ, মালিক লাভলু খান। কার্যাদেশ মোতাবেক ২০২২ সালের ২০ জুন কাজ শেষ করা হয়।

ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল লতিফসহ উপস্থিত একাধিক স্থানীয়রা জানান, ঠিকাদার তার নিজের এলাকায় বসে স্ল্যাব তৈরি করে নিয়ে এসে ব্রিজে একদিনের মধ্যে স্থাপন করে চলে গেছেন। কাজ করে যাওয়ার পর থেকেই স্ল্যাবগুলোতে ফাটল দেখা দেয়। তিন দিন পূর্বে তিনটি স্ল্যাব ভেঙে পড়লে এ দৃশ্য দেখে এলাকাবাসী অবাক। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউএনও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।


এ বিষয়ে মেসার্স হালিমা এন্টারপ্রাইজ এর মালিক লাভলু খানের সাথে কথা বলে যানা গেছে, এক দেড় বছর আগের ঘটনা তা এখন কি বলব। তিনি ওই কাজ কাউখালীর সীমান্ত ও তার এক বড়ভাইয়ের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন স্ল্যাব যখন ঢালাই দেয় তখন উপজেলা প্রকৌশলী বা তার প্রতিনিধিরা দেখেননি কেন। এখন সমস্যার কথা বললে হবে কিভাবে।

তবে এ বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেনের সাথে একাধিকবার তার মুঠোফোনে ফোন দিয়েও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বজল মোল্লা বলেন, খবর পেয়েই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থা দেখেছি। অবাক হয়েছি। উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাইদ মনু মিয়া বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে ইউএনওকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ফিরে তাৎক্ষণিক সভা করেছি। প্রকৌশলী আসতে পারেননি। তাকে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টি এলাকার সংসদ সদস্য, এলজিইডির চীফ ইঞ্জিনিয়ার, নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হবে। এতবড় দুর্নীতি করতে দেওয়া যায় না।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫