ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টেন্ডার নিয়ে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার পর দুটি পক্ষ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের আশপাশ এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আজ বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবন কার্যালয় এলাকায়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ক্রয়-বিক্রয় সিডিউল বিক্রির কার্যক্রম চলছিল। সিডিউল ক্রয় নিয়ে জেলা যুবলীগ ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এর মাঝে জেলা যুবলীগের সদস্য আসাদুজ্জামান রুমেল সিডিউল কিনতে গেলে বাঁধা দেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি নাসিম মন্ডল নিকু। এই নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনার ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনার পর হাসপাতালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জেলা যুবলীগের সদস্য আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টেন্ডারের সিডিউল বিক্রি চলছে গত এক মাস যাবত। কিন্তু মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি নাসিম মন্ডল নিকু সিডিউল বিক্রি করতে দিবেন না। আজকে আমরা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলামের সিডিউল কিনতে আসলে নাছিম মন্ডলের লোকজন বাধা দেন। এসময় কিছুটা ঝামেলা হয়েছে। তবে, আমরা সিডিউল কিনেছি।

এ বিষয়ে জানতে মহানগর স্বেচ্চাসেবকলীগ সহ-সভাপতি নাসিম মন্ডল নিকুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. জাকিউল ইসলাম বলেন, সিডিউল বিক্রির নিয়মিত কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর টেন্ডার জমা দেয়ার শেষ তারিখ। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তেমন কিছু ঘটেনি। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।

কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ কামাল আকন্দ বলেন, শুনেছি টেন্ডার নিয়ে দুই গ্রুপের মাঝে ঝামেলা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।