বিপদসীমা ছুঁইছুঁই তিস্তার পানি
উত্তরে বন্যার আশঙ্কা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০:৫৬
তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া পয়েন্ট। ছবি- লালমনিরহাট প্রতিনিধি
টানা ভারী ভার্ষণে বিপদসীমা ছুঁইছুঁই অবস্থানে রয়েছে তিস্তা নদীর পানি। নিয়ন্ত্রণে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। পানি বৃদ্ধিতে তিস্তা চরের নিম্ন অঞ্চলের মানুষ আরেকবার বন্যার আশঙ্কা করছেন।
আজ রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৭ মিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ মিটার)। যা বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল শনিবার সকাল থেকে রবিবার সারাদিন কখনো গুড়ি গুড়ি আবার কখনো ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে তিস্তা তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার হেক্টর ফসলের ক্ষেত। বৃষ্টির কারণে লালমনিরহাটের সকল নদ নদীর পানি প্রবাহ বেড়েছে। টানা বর্ষণে ডালিয়া পয়েন্টেও পানিপ্রবাহ বেড়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে তিস্তা নদীর বাম তীরে লালমনিরহাট জেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। যেকারণে বন্যার শঙ্কায় চিন্তিত হয়ে পড়েছে তিস্তাপাড়ের মানুষ। চলতি মৌসুমে কয়েক দফা বন্যা হলেও তা বেশি সময় স্থায়ী ছিল না। মৌসুমের শেষদিকে বড় বন্যার আশঙ্কা করছেন নদী পাড়ের মানুষ।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, টানা ভারী বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বেড়েছে। সবগুলো জলকপাট খুলে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টায় আরও তিস্তার পানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, তিস্তার পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চলের কিছু কিছু ঘরবাড়িতে পানি ওঠতে শুরু করেছে। কিছু কিছু এলাকায় রাস্তা ডুবে গিয়ে চলাচলের কষ্টকর হয়ে পড়ছে।