
ডোমার উপজেলার পৌর বাজার। ছবি: নীলফামারী প্রতিনিধি
বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা মানুষ। সরকারের বেধে দেওয়া নিয়ম মানছেন না ব্যবসায়ীরা। বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু, ডিম ও পেয়াজ। বেড়েছে সকল সবজির দাম। দাম বেড়েছে মুরগী ও মাছের দাম। আমরা মাছে ভাতে বাঙালি। জাতীয় মাছ ইলিশ আমাদের পান্তা ভাতের সঙ্গী হয়ে থাকলেও এখন তা কিনতে হচ্ছে দুই মণ ধানের বিনিময়ে।
ডোমার উপজেলার পৌর বাজার ও বিভিন্ন হাটগুলোতে ইলিশ মাছের কেজি ২ হাজার দুইশত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বর্তমানে প্রকারভেদে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১১২০ টাকায়।
পৌর বাজারের ইলিশ মাছ ব্যবসায়ী সুমন বলেন, ইলিশ ১ কেজি ওজনের বেশি হলে প্রতি কেজি দাম নির্ধারণ করা হয় ২২০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত। কিছুদিন আগে কেজি এক হাজার আটশত টাকায় বিক্রি হতো। এবার দাম তুলনামূলক বেশি। তবে এত টাকায় সবার পক্ষে ইলিশ কেনা সম্ভব নয়। গরীবের খাদ্য তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ইলিশের নাম।
পৌর মাছ বাজারের ইলিশ মাছ বিক্রেতা রাজ কুমার জানান, কিছুদিন পরেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ইলিশ রপ্তানির কারণে ইলিশের দাম একটু বেশি। আমরা খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশি দামে কিনে একটু লাভ হলেই বিক্রি করে থাকি। অনেকেই মাছ কিনতে এসে ইলিশ মাছের দাম শুনে চলে যাচ্ছেন।
মাছ কিনতে আসা রতন রায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দুই মণ ধান বিক্রি করে এক কেজি ইলিশ খাওয়ার ইচ্ছা আমার নেই। তাই দাম শুনেই ফিরে যেতে হচ্ছে।
পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ময়নুল হক বলেন, ইলিশ মাছের দাম একটু বেশি তারপরও ইলিশের মৌসুমে ইলিশ ছাড়া কি চলে। মাছ ব্যবসায়ীরা বলেন, ভারতে রপ্তানি ও চাহিদা বেশি থাকায় ইলিশের দাম বেড়েছে অনেক।