Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

ইউরেনিয়াম হস্তান্তর: পারমাণযুগে বাংলাদেশ

Icon

মো. ফজলুল হক, পাবনা

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:০৪

ইউরেনিয়াম হস্তান্তর: পারমাণযুগে বাংলাদেশ

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ছবি: পাবনা প্রতিনিধি

সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পারমাণবিক জ্বালানি ফ্রেস নিউক্লিয়ার ফুয়েল বা ইউরেনিয়ামের মালিক হলো বাংলাদেশ। ইউরেনিয়াম হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে পারমাণবিক শক্তির যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বিকেল ৩টা ৫২ মিনিটে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে ইউরেনিয়াম হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রসি।

হস্তান্তর উপলক্ষে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আয়োজন করা হয় গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানের। দুই দেশের সরকার প্রধানের অনুমতিতে সেখান পারমাণবিক জ্বালানির একটি নমুনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের হাতে হস্তান্তর করেন রুশ পরমাণু শক্তি করপোরেশন রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ। এটি হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পারমাণবিক শক্তির অধিকারী হলো বাংলাদেশ।


অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচিতি তুলে ধরেন রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর। এরপর পারমানবিক জ্বালানী উৎপাদন এবং রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য পারমাণবিক জ্বালানির প্রথম ব্যাচ হস্তান্তর সম্পর্কিত ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

স্বাগত বক্তব্য দেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন।  ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আইএইএর ডিজি রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসি, রোসাটমের ডিজি আলেক্সি লিখাসেভ। সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। 

এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে এসে পৌঁছায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জ্বালানির প্রথম চালান। পরেরদিন ২৯ সেপ্টেম্বর বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জ্বালানি নেওয়া হয় প্রকল্প এলাকায়।


উল্লেখ্য, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের সবচেয়ে আলোচিত ও বৃহৎ প্রকল্প। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে সরকারের ব্যয় ২২ হাজার ৫২ কোটি ৯১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। আর রাশিয়া থেকে ঋণ সহায়তা হিসেবে আসছে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা।

দুটি ইউনিট চালু হলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। প্রথম ইউনিটের ভৌত এবং অবকাঠামোগত কাজ শেষ হয়েছে ৯০ শতাংশের বেশি। আর দ্বিতীয় ইউনিটের অগ্রগতি ৭০ শতাংশ।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫