
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে দ্রুত বাড়ছে নদীর পানি। ছবি: গাইবান্ধা প্রতিনিধি
ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজান থেকে নেমে আসা ঢলে দ্রুত বাড়ছে নদীর পানি। এতে করে বাংলাদেশের তিস্তা নদীর তীরবর্তী উত্তরাঞ্চলের ৫ জেলায় বন্যার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
এরই মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সংশ্লিষ্ট এলাকার কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
পাউবো বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিস্তা নদীর পানি বাংলাদেশ অংশের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এতে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধার তিস্তার তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়ে বন্যা হতে পারে।
এদিকে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী মানুষদের জন্য জরুরি সতর্কবার্তা জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের এক পত্রে জরুরি বার্তাটি জনস্বার্থে প্রকাশ করা হয়েছে।
এ পত্রে বলা হয়, ভারতের বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তিস্তা নদীর পানি আজ দুপুর থেকে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হবে। তাই তিস্তার পার্শ্ববর্তী এলাকার সর্বসাধারণকে সতর্ক থাকার জন্য বলা হল। মাছ ধরা বা অন্য কোন প্রয়োজনে নিকটবর্তী বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র অবস্থান নেওয়ার জন্য বলা হয়।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাসুদুর রহমান বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায় নদীর তীরবর্তী মানুষদের নিরাপদে থাকার জন্য সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।