Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

বিদ্যালয়ে টাকা না দিলে মিলে না প্রশংসাপত্র

Icon

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:০১

বিদ্যালয়ে টাকা না দিলে মিলে না প্রশংসাপত্র

নৃপেন্দ্র নারায়ণ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। ছবি: পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে নৃপেন্দ্র নারায়ণ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অর্থের বিনিময়ে প্রশংসাপত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। খোদ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলামের দিকে অভিযোগের তীর।

নিয়ম অনুযায়ী উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হতে হলে মাধ্যমিকের প্রশংসাপত্র বাধ্যতামূলক। এর এই নিয়মকেই পুঁজি করে গড়ে উঠেছে অনিয়ম। শিক্ষার্থীদের বাধ্য হয়ে অর্থের বিনিময়ে নিতে হচ্ছে প্রশংসাপত্র। অর্থ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলেও প্রশংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে না বলে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশংসাপত্র তুলতে জনপ্রতি ১৫০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। টাকা না দিলে প্রশংসাপত্র দিচ্ছে না বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। টাকা তুলতে রীতিমতো রেজিস্ট্রার ম্যাইন্টেইন করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, এই স্কুল থেকে এবছর মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি পাস করেছি। প্রশংসাপত্র তুলতে গেলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১৫০ টাকা দাবি করে। কিন্তু আমার কাছে টাকা কম থাকায় ফিরে এসেছি।

এবার এসএসসি পাশ করা এক ছাত্রের বড় ভাই মাহাদী শেখ জানান, ছোট ভাইয়ের প্রশংসাপত্র নিতে গিয়ে শুনি দেড়শ টাকা লাগবে। প্রথমে দিব না ভাবলেও শেষে কলেজে দ্রুত ভর্তির তাগিদে টাকা দিয়ে প্রশংসাপত্র নেই।

এইদিকে পার্শ্ববর্তী অলদীনি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রশংসাপত্রের জন্য কোনরকম টাকা নেওয়া হয়নি। অথচ আমাদের স্কুলে সবার কাছেই টাকা নেওয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের কাছে টাকার বিনিময়ে প্রশংসাপত্র দেওয়ায় বেশ কিছু শিক্ষার্থী প্রতিবেদকের নিকট ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রশংসাপত্র একজন শিক্ষার্থীর ন্যায্য অধিকার। সেই অধিকারকে টাকার কাছে জিম্মি করেছেন প্রধান শিক্ষক।

হাসিবুল নামে এক অভিভাবক বলেন, নামে সরকারি হলেও সারা বছর হরেক রকম ফি দিতে হয়। বড় ছেলে পাস করেছে এখন ছোট ছেলের পালা শুরু। নির্ধারিত খাতের বাইরেও টাকা দিতে হয় স্কুলে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলাম বলেন, এই টাকাটা নেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেয়ার জন্য। তাদের নামে ক্রেস্ট তৈরি করে দেওয়া হবে। এছাড়া দরিদ্র শিক্ষার্থীদের কাছে টাকা নিতে নিষেধ করেছি।

তবে ২০২১ এবং ২০২২ শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায় তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকেই প্রশংসাপত্র নেওয়ার সময় টাকা নেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত তাদের কোনো সংবর্ধনা দেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সলিমুল্লাহ বলেন, প্রশংসাপত্রের জন্য কোনো ধরনের অর্থ আদায়ের নিয়ম নেই। এছাড়া সার্টিফিকেট এবং একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের টাকা ফরম ফিলাপের সময়ও নেওয়া হয়। তাই এই বাবদ নতুন করে টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যদি সত্যতা মিলে তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে অবগত করবো।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫