প্রণোদনা নিয়ে অসন্তোষ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের

প্রান্ত রনি, রাঙামাটি
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৪৬

ধান কাটছে এক কৃষক। ফাইল ছবি
রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান- এই তিন পার্বত্য জেলায় গত আগস্টের বন্যায় কৃষি সমম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে ৭১ হাজারের অধিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আর্থিক হিসাবে এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৮৩ কোটি ৮ লাখ টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জেলাভিত্তিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ চূড়ান্ত নিরূপণ করে খামার বাড়িতে প্রতিবেদন পাঠিয়েছিল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) রাঙামাটি অঞ্চল।
কৃষি মন্ত্রণালয় ত্বরিতভাবে কৃষকদের পাশেও দাঁড়িয়েছে প্রণোদনা কার্যক্রমের আওতায়। তবে প্রণোদনার বরাদ্দ খুবই অপ্রতুল। তিন পার্বত্য জেলার ৭১ হাজার কৃষকের ফসলি জমি তলিয়ে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রণোদনার ৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ পেয়েছেন মাত্র ৩ হাজার কৃষক। ইতোমধ্যে তালিকা অনুযায়ী উপজেলা পর্যায়ে কৃষকদের মাঝে প্রণোদনার ধান শতভাগ বীজ বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএই। যদিও কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তুলনায় প্রণোদনার ধান বিতরণ কার্যক্রমের আওতায় সকল কৃষককে আনা যায়নি।
ডিএই রাঙামাটি অঞ্চল কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে তিন পার্বত্য জেলায় ১ লাখ ১৩ হাজার ৫১ হেক্টর কৃষি জমিতে আউশ ধান, রোপা আমন ধান, গ্রীষ্মকালীন সবজি, আদা, হলুদ, কলা, পেঁপেসহ অন্যান্য ফসলের চাষাবাদ হয়েছে। এর মধ্যে বন্যায় ও পাহাড়ি ঢলে তিন পার্বত্য জেলার ১৫ হাজার ৮২৭ হেক্টর জমির ফসল আক্রান্ত হয়েছে। সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১২ হাজার ৭৭৭ হেক্টর জমির ফসল। আবাদ হিসাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১১ দশমিক ৩০ শতাংশ জমির ফসল। আর্থিক হিসাবে তিন জেলার ৭১ হাজার ২৫০ জন কৃষক ৩৮৩ কোটি ৮ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাঙামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক তপন কুমার পাল জানান, তিন পার্বত্য জেলার ৭১ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কিন্তু এর মধ্যে ধান চাষি, জুম চাষি, ফল ও সবজি চাষিরাও রয়েছেন। আপাতত আমন ধান আবাদ উপযোগী এলাকার কৃষকদের জন্য ১৫ টন ধান বীজ প্রণোদনা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আসন্ন রবি মৌসুমে অক্টোবর মাসের দিকে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে ধান, ফল, সবজিসহ অন্যান্য বীজ প্রণোদনা দেওয়া হবে। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে ধাপে ধাপে সকল কৃষককে প্রণোদনা কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসা।