ছাত্রীদের উত্যক্ত করায় পুলিশ হেফাজতে প্রধান শিক্ষক

রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ২০:০১

ধুরইল উচ্চ বিদ্যালয়। ছবি: রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহীর মোহনপুরে ধুরইল উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের উত্যক্ত করার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক সোহরাব আলীকে (৫৫) পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এঘটনায় মোহনপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ছাত্রীদের অভিভাবকরা। আজ রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে তাকে থানায় নেওয়া হয়।
অভিযুক্ত প্রদান শিক্ষক উপজেলার মৌপাড়া গ্রামের মৃত আমজাদ আলী খানের ছেলে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক। তিনি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানও।
এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল ১০টায় স্কুলে আসেন সোহরাব। স্কুলে আসার পর ষষ্ট, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রীদের ডেকে নেন তিনি। এরপর ছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক খোঁজ খবর নেওয়ার ছলে তাদের শরীরে হাত দেন। এতে ছাত্রীরা শিক্ষকের এমন আচরণে প্রতিবাদ করে এবং বিষয়টি অবিভাবকদের জানায়।
ক্ষুদ্ধ অভিভাবকরা বিদ্যালয় ঘেরাও করে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সেই আন্দোলন আরও জোরদার হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিথিলা দাস, একাডেমিক সুপারভাইজার আ. মতিন ও ধুরইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোওয়ার হেসেন।
সহকারী কমিশনার মিথিলা দাস ভুক্তভোগী ছাত্রীদের থেকে ঘটনার বিবরণ শুনে তাৎক্ষণিক প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও স্কুলের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত জানান। এতে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে ছাত্রীদের সাথে অশালীন আচরণ করায় সোহরাবকে পুলিশ হেফাজতে মোহনপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, প্রধান শিক্ষক এর আগেও বহুবার ছাত্রীদের সাথে এমন আচরণ করেছে। এর আগে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। আজকে কিছু ছাত্রীদের সাথে অশোভন আচরণ করায় তারা প্রতিবাদ করেছে।
এ বিষয়ে মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি হরিদাস মন্ডল বলেন, প্রধান শিক্ষক সোহরাব আলীকে পুলিশি হেফাজতে থানায় আনা হয়েছে। কেউ অভিযোগ করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।