কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পরকীয়া সন্দেহে স্বপন (২৭) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

আজ বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকালে কুমারখালী থানা পুলিশ নিহত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

মঙ্গলবার গভীর রাতে কুমারখালীর পৌর এলাকার তেবাড়িয়া গ্রামে আসাদের বাড়িতে হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। নিহত স্বপন চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা উপজেলার শ্রীপুর বয়ালে গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, তেবাড়িয়া গ্রামের আসাদের স্ত্রী সুমি খাতুনের (২৪) সঙ্গে তার চাচাত ভাই স্বপ্নের দীর্ঘদিনের পরকীয় সম্পর্ক ছিল। স্বপন মঙ্গলবার গভীর রাতে সুমির সঙ্গে দেখা করতে গেলে সুমির শ্বশুর বাড়ির লোকজন স্বপনকে আটক করে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে বাড়ির উঠনে ফেলে রাখে। তবে ঘটনার পর থেকে সুমির শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন।

নিহত স্বপনের বাবা আব্দুর রশিদ জানান, আমার ছেলের সঙ্গে সুমির সম্পর্ক ছিল। সুমি আমার ছেলেকে ফোন করে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

কুমারখালী থানার ওসি মো. আকিবুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত যুবকের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পরকীয়ার জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যে বাড়িতে লাশ পাওয়া গেছে সেই বাড়ির সবাই পলাতক রয়েছেন।