কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড়ে ২৫০০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, ৩ জনের মৃত্যু

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:৩৫

ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুতের খুঁটি। ছবি: কক্সবাজার প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে পুরো কক্সবাজার। দিনের বেলায় ক্ষতের চিহ্ন ফুটে উঠেছে। গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। প্রাথমিকভাবে ২৫০০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷ পুরো জেলায় ২০ ঘণ্টা ধরে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। সেই সাথে মোবাইল নেটওয়ার্কের জটিলতাও দেখা দিয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ।
গতকাল মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ঘূর্ণিঝড়ে জেলায় তিনজনে মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক।
নিহতদের মধ্যে কক্সবাজার পৌরসভায় দেয়ালচাপায় একজন, মহেশখালী ও চকরিয়ায় গাছচাপায় আরো দুজনের মৃত্যু হয়। মৃতরা হলেন- কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকার খুইল্ল্যা মিয়ার ছেলে আবদুল খালেক (৪০), মহেশখালী এলাকার হারাধন দে (৪৫) ও চকরিয়া বদরখালী এলাকার জাফর আহমদের ছেলে আসকর আলী (৪৭)।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ অতীশ চাকমা বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে হাজার হাজার গাছ উপড়ে গেছে। যার কারণে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছিল। কিন্তু রাত ৩টা পর্যন্ত কাজ করে এসব মহাসড়ক ও সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। এখন শহরের সড়কগুলো থেকে উপড়ে পড়া গাছ কেটে তা সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হচ্ছে। কিছুটা সময় লাগবে, কারণ অনেক বেশি গাছ উপড়ে সড়কে পড়েছে। চেষ্টা করছি দ্রুত সরিয়ে সড়কে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করার।
কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের গণি বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে উপড়ে গেছে অসংখ্য বৈদ্যুতিক খুঁটি। তার ছিঁড়ে রাস্তা-ঘাটে পড়ে রয়েছে। এখন বৈদ্যুতিক সংযোগ দিলে প্রাণহানি ঘটতে পারে, তাই আপাতত বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
আজ বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ জানতে কাজ চলছে। কিন্তু মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় তা জানতে বিলম্ব হচ্ছে। মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে আলাপ করে দ্রুত নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক করতে বলা হয়েছে। এটা হলে ক্ষয়ক্ষতির খবর দ্রুত পাওয়া যাবে। এ মুহূর্তে তিনজনের মৃত্যু, আড়াই হাজার ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ডিসি৷