
মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া মিলে ত্রি-জেলা গরু মেলা ঘিরে গ্রামীণ জনপদের খামারগুলোতে উৎসাহ উদ্দীপনা ও প্রস্তুতির কমতি নেই। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
ঢাকা-চট্টগ্রামের পর এবার প্রান্তিক পর্যায়ে চুয়াডাঙ্গায় গরু মেলার আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ)। চুয়াডাঙ্গার টাউন ফুটবল মাঠে আগামী ১০ ও ১১ নভেম্বর দুদিন ব্যাপী এ মেলায় অংশ নেবেন সারাদেশে তিন হাজারেরও বেশি খামারি।
মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া মিলে ত্রি-জেলা গরু মেলা ঘিরে গ্রামীণ জনপদের খামারগুলোতে উৎসাহ উদ্দীপনা ও প্রস্তুতির কমতি নেই। নিজের সবচেয়ে আকর্ষনীয় গরু মেলায় উঠাতে প্রস্তুত খামারিরা। মেলা সফল করতে গত কয়েক দিন ধরে চলছে প্রচার-প্রচারণা। দফায় দফায় বৈঠক করছেন খামারিরা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেনসহ একটি প্রতিনিধি দল চুয়াডাঙ্গা পরিদর্শন করেছেন। শুক্রবার থেকে চুয়াডাঙ্গার টাউন ফুটবল মাঠে মেলার প্যাভিলিয়নসহ অন্যান্য স্থাপনার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
বিডিএফএর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তৃণমূলের খামরীদের উৎসাহ দেওয়া, অভিজ্ঞতা বিনিময়, প্রশিক্ষণ এবং তাদের দুঃখ-দুর্দশা তুলে ধরতেই গরু মেলার আয়োজন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। শেষ দিনে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার (ছেলুন), বিশেষ অতিথি থাকবেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেলায় উঠবে ২৫০টির মতো আকর্ষনীয় গরু। গরু কেনাবেচার পাশপাশি খামারিরা একে অপরের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন। থাকছে জমকালো র্যাম্প শো ও আকর্ষনীয় পুরস্কার। কম দামে গরুর সুষম খাদ্য তৈরি ও জাত উন্নয়নবিষয়ক দুটি প্রশিক্ষণ পরিচালনা করবেন বিশেষজ্ঞরা।
ডেইরি খাতে দেশের সবচেয়ে বড় সংগঠন বিডিএফএ। সারাদেশে ৫০ হাজারেরও বেশি খামারি এ সংগঠনের সদস্য। প্রতি বছর প্রাণী প্রদর্শনী ও খামারী সম্মেলনের আয়োজন ছাড়াও এ খাতের নানা দাবি নিয়ে সরব থাকে বিডিএফএ।
সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের ক্ষুদ্র খামারিদের সুখ-দুঃখ সেভাবে উঠে আসে না। এ মেলার মাধ্যমে খামারিরা নীতি নির্ধারকদের কাছে তাদের সমস্যা তুলে ধরবেন। এছাড়া সারাদেশের খামরিদের সঙ্গে শক্ত মেলবন্ধন তৈরির জন্যই এমন আয়োজন করা হয়েছে।