কাপ্তাইয়ের সেই হস্তিনীর মৃত্যু কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২৬

রাঙ্গামাটি জেলার মানচিত্র
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালীতে মারা যাওয়া সেই হাতিটির মৃত্যু হয়েছে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে। হাতির ময়নাতদন্ত রিপোর্টে এটিই উঠেছে এসেছে বলে জানিয়েছেন পশু বিশেষজ্ঞরা।
হাতির মৃত্যুর পরে অবশ্য প্রাথমিকভাবে স্ট্রোকজনিত কারণে মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করেছিলেন বন ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা। ময়না তদন্তের পর প্রকাশিত রিপোর্টে অবশেষে সেই সত্য মিলেছে।
হাতির মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে কাপ্তাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. এনামুল হক হাজারী বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা যখন হাতির গায়ে কোনো ধরণের আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাইনি। তখন রাঙ্গুনিয়া ও কাপ্তাই ইকো-পার্কের ভেটেরিনারি সার্জনরাসহ সার্বিকভাবে দেখলাম মৃত্যুর কারণ স্ট্রোক হতে পারে। হাতির বিভিন্ন অংশের নমুনা সংগ্রহ করে ময়না তদন্ত শেষে দেখা গেছে হাতিটির মৃত্যু কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে হয়েছে।’
এই পশু বিশেষজ্ঞ আরো বলেন, সাধারণত একটি হাতির ওজন হয়ে থাকে প্রায় ৪ টনের মতো। এরা প্রতিদিন যে খাদ্য খায়, পার্বত্য চট্টগ্রামের বনে এখন এত খাদ্য পায় না হাতি। বনে খাদ্য ঘাটতির প্রভাব আর গরমের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে হাতিটির হ্রদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হতে পারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সকাল ৮টার দিকে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড মতিপাড়া কাঁঠালতলী এলাকায় বুনো হাতিটিকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। পরে ওইদিনই হাতির মৃত্যুর ঘটনায় থানায় জিডি ও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন শেষে মাটি চাপা দিয়েছিল বন বিভাগ। মৃত এশিয়ান নারী হাতিটির আনুমানিক বয়স ৩০ বছর বলে জানিয়েছেন বন ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা। একটি হাতির আয়ুষ্কাল ৬০-৭০ বছর হলেও এই হাতিটি মারা গিয়েছে আয়ুষ্কালের অর্ধেক সময়ের মধ্যেই।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে রাঙ্গামাটির সদর উপজেলার জীবতলীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুইটি বুনো হাতির মৃত্যু হয়েছিল। ২০১৫ সালের পর রাঙ্গামাটিতে চলতি বছরের ১২ অক্টোবর জেলার কাপ্তাইয়ে আরো একটি বুনো হাতির মৃত্যু হলো। ২০১৫ সালের পর থেকে বিগত দিনে রাঙ্গামাটিতে হাতির মৃত্যুর খবর পাওয়া না গেলেও হাতির আক্রমণে অনেকেই মারা গিয়েছেন।