
লোকালয়ে মুখপোড়া হনুমান। ছবি: কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকৃতির ওপর বিরূপ প্রভাবের ফলে এখন বনের প্রাণীরা অনেকটাই তাদের নিজস্ব অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। চরম সংকটে পড়ছে খাদ্যের। আর তাইতো খাদ্যের সন্ধানে এখন লোকালয়ে দেখা মিলছে দলছুট মুখপোড়া হনুমানের। বন-জঙ্গলের পরিসর সীমিত হয়ে আসায় এ সকল বন্যপ্রাণীরা খাদ্যের সন্ধানে চলে আসছে একেবারে লোকালয়ে।
বেশ কিছু দিন ধরে কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন এলাকাতে একেবারে জনসমাগমে ঘোরাফেরা করছে কয়েকটি হনুমান। সাধারণ মানুষের সাথে বেশ সখ্যতা ঘরে তুলেছে হনুমানটি। হনুমানটি এক নজর দেখার জন্য গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ও কৌতূহলী মানুষ ভিড় জমাচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, হনুমানটি শহরের এনএস রোডের মৌবনের আশেপাশে ঘুরছে বেশ কদিন ধরে। বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেটের সামনের সড়কে প্রাচীরের ওপর আবার কখনো মৌবনের আশেপাশে বিল্ডিংয়ের ওপর, টিনের চালে কখনোবা ছাদে বসে আছে। তার চারপাশে ঘিরে রয়েছে কৌতূহলী মানুষ। হনুমানটি কখনো কখনো আবার দোকানের মধ্যে ঢুকে পড়ছে। মাঝে মাঝে হনুমানটি মানুষের সাথে মিশে পাশাপাশি হাঁটছেও স্বাভাবিক ভাবে। তবে এই হনুমানের সাথে সদ্যজাত শিশু হনুমানও রয়েছে।
উৎসুক জনতাও হনুমানটিকে ভীষণ আদর করছে। কখনো কলা, কখনো বিস্কুট, পাউরুটি, আবার কখনো সবজী খেতে দিচ্ছে তারা। সবার দেওয়া খাবারগুলোই খাচ্ছে হনুমানটি।
মৌবনের কর্মকর্তা লক্ষণ কুমার বলেন, হনুমানটি খুবই শান্ত প্রকৃতির। কাউকেই কিছু বলেনা। বেশ কিছু দিন ধরেই আমরা এই এলাকাতে হনুমানটিকে দেখতে পাচ্ছি। হনুমানটি দেখে সবাই খুব মজা পাচ্ছে। খাবারের সময় হলে টিনের চাল কিংবা গাছ থেকে নিচে নেমে আসে। তখন আমরা তাকে খাবার খেতে দেই।
পাবনী নামের এক কিশোরী বলেন, চিড়িয়াখানা বা বনে ছাড়া তো সাধারণত হনুমান দেখা যায় না। আমরা আমাদের বাড়ির আশেপাশে এই মুখপোড়া হনুমানটি তার বাচ্চা নিয়ে ঘোরাঘুরি করছে। লাফিয়ে এক বাড়ীর ছাদ থেকে আরেক বাড়ীতে ছুটতেও দেখা যাচ্ছে। তবে কিভাবে এবং কোথায় থেকে এই হনুমানটি এখানে এসেছে তা আমরা বলতে পারবোনা। মাঝে মাঝেই এ রকম হনুমান এদিকে আসে।