শ্রমিক অসন্তোষ থেকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা হচ্ছে: র্যাব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৩, ২২:০০

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মোসতাক আহমেদ। ছবি- সংগৃহীত
ন্যূনতম মজুরি প্রত্যাখান করে গাজীপুরের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলন ও অসন্তোষ থেকে ‘রাজনৈতিক ফায়দা’ হাসিল করার চেষ্টা চলছে বলে দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটিলিয়ন (র্যাব)।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে চলমান শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় সড়ক অবরোধ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়িতে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোসতাক আহমেদ।
কোনো রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ না করে মোসতাক আহমেদ বলেছেন, শান্তিপ্রিয় শ্রমিকরা রাস্তাঘাট অবরোধ, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করতে পারে বলে আমাদের মনে হয় না। আমরা বিশ্বাস করি, এর সঙ্গে কুচক্রীমহল জড়িত। এটাতে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুরের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছেন। এর মধ্যে মঙ্গলবার সাড়ে ১২ হাজার টাকা নূন্যতম মজুরি ঘোষণা করে সরকার।
সেই মজুরি প্রত্যাখ্যান করে বুধবার শ্রমিকরা আন্দোলনে নামে। সেদিন সংঘর্ষের এক নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে চান্দনা চৌরাস্তা-শিববাড়ি সড়ক বন্ধ করে আন্দোলন করেন শ্রমিকরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে নিলে যান চলাচল শুরু হয়।
দুপুরের খাবারের বিরতির পর থেকেই শ্রমিকরা ফের আন্দোলন শুরু করেন। প্রথমে কোনাবাড়ি বিসিক এলাকার বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা সড়কে নামেন। পরে মিছিল করতে করতে আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করে। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিলে উত্তেজিত শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে পুলিশ গিয়ে কাঁদুনে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোসতাক আহমেদ বলেন, এরই মধ্যে শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু কিছু কুচক্রীমহল শ্রমিকদের সঙ্গে মিশে পরিস্থিতি খরাপ করার চেষ্টা করছে। এজন্য ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পরিবেশ শান্ত রাখতে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব সদস্যরাও কাজ করছেন। কিছু অসাধু বা কুচক্রীমহল কারখানা ভাঙচুর ও পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, গার্মেন্ট শিল্প আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা যাতে কেউ অশান্ত করতে না পারে তার জন্য র্যাব-১ ও বিজিবি একসঙ্গে কাজ করছে। আমরা শ্রমিকদের কাজে ফেরানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছি।