অবরোধেও  চলে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। তবে অবরোধের প্রভাব রয়েছে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমে। এতে বন্দর থেকে অন্য জেলায় পণ্য পরিবহন কমেছে।

গত ২৮ অক্টোবর থেকে বিএনপি-জামায়াত হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছে। অবরোধ থাকলেও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কোনো কর্মসূচি থাকে না। তাই এ দুইদিন জরুরি পণ্য বন্দর এলাকার কাছাকাছি রাখেন ব্যবসায়ীরা। একইভাবে জেলার বাইরেও পাঠানো হয় আমদানি পণ্য। এছাড়া রাতে কিছু কিছু ট্রাক বন্দর ছেড়ে বিভিন্ন জেলায় চলে যায়।

শ্রমিকরা জানান, বুড়িমারী স্থলবন্দরে সব ধরনের পণ্য লোড-আনলোড স্বাভাবিক রয়েছে। শুধু মাত্র বন্দরের বাইরে পণ্য পাঠানো ও পরিবহন করায় ভাটা পড়েছে। তবে উভয় দেশে ট্রাক যাওয়া-আসা আগের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে।

ব্যবসায়ী রোকন উদ্দিন বলেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিবেশে কনস্ট্রাকশনের কাজ করছেন না ঠিকাদাররা। ফলে পাথরের চাহিদা কমায় দামও কমেছে। কিন্তু ভারতে বেড়েছে পাথরের মূল্য। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে, আলুসহ কাঁচা পণ্য বন্দরে বেশি দিন রাখা যায় না। সময় মতো বাজারে পাঠাতে না পারলে পচে যাচ্ছে পণ্য। সেক্ষেত্রেও লোকসানের শঙ্কায় রয়েছি। বন্দরের আমদানি-রপ্তানি পণ্যের ট্রাক যাতায়াতে নিরাপত্তার দাবি জানান তিনি।

তবে বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল বলেন, বুড়িমারী বন্দরে হরতাল অবরোধের কোনো প্রভাব নেই। আগের মতোই বন্দরে ভিড়ছে ট্রাক।

বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (ট্র্যাফিক) গিয়াস উদ্দিন বলেন, বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে আমদানি-রপ্তানি পণ্য বাইরের জেলায় যাতায়াত কমে যাওয়ায় বন্দরে ট্রাক কমেছে। দৈনিক গড়ে ৩০০ ট্রাক বন্দরে ভিড়ার কথা থাকলেও গতকাল বৃহস্পতিবার মাত্র ১৭৯টি ট্রাক বন্দরে আসে। যা অন্যদিনের তুলনায় কম। 

তিনি আরো বলেন, কোনো ব্যবসায়ী পণ্য  আমদানি করে সেটা বাইরে জেলায় বিক্রি বা সরবরাহ করতে না পারলে সেই ব্যবসায়ী নতুন করে কোনো পণ্য আমদানি করছেন না। যার কারণে ট্রাক কমেছে। তবে নিরাপত্তা জোরদার করে বন্দরের পণ্যবাহী ট্রাক সারা দেশে পরিবহনের ব্যবস্থা করলে সমস্যা কেটে যাবে।